এ পদ্ধতিকে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিও বলা হয়। কেননা যাদুকর নির্ধারিত এক তারকা উদয়ের উপেক্ষায় থাকে। অতঃপর সে তাকে সম্বোধন করে যাদু মন্ত্র পড়তে থাকে। তারপর অন্যান্য শিরকী ও কুফরী কালাম পড়তে থাকে। যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। তারপর সে এমনভাবে নড়া-চড়া করে যাতে সে ধারণা পোষণ করায় যে, সে উক্ত তারকার আধ্যাত্মিকতার ভিত্তিতে তা করছে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সে আল্লাহ ব্যতীত তারকার ইবাদত করছে। যদিও এ জ্যোতিষী বুঝতে পারেনা যে, তার এ কর্ম আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদত ও অন্যের মহত্ব প্রকাশ হয়। এরপর শয়তানরা তার নির্দেশে সাড়া দেয়; আর সে মনে করে যে, এ তারকায় তাকে এসবে সাহায্য করে। অথচ উক্ত তারকার এ সম্পর্কে কিছুই অবগতি নেই।

যাদুকররা মনে করে থাকে যে, এ যাদু আর খুলবে না যে পর্যন্ত দ্বিতীয়বার প্রকাশ না পাবে। (এ বিশ্বাস একান্তই যাদুকরদের; কিন্তু কুরআনের চিকিৎসা দ্বারা এ যাদু আল্লাহর ফজলে নষ্ট করা যায়।) আর সত্যই কোন কোন তারকা বছরে মাত্র একবারই প্রকাশ পায়। সুতরাং যাদুকররা তার প্রকাশের অপেক্ষায় থাকে ও পরে সে তারকার নিকট ফরিয়াদ ও সাহায্য কামনা করে মন্ত্র পড়তে থাকে যাতে তাদের যাদু খুলে দেয়।

নিঃসন্দেহে এ পদ্ধতিও আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নিকট সাহায্য প্রার্থনা ও তার বড়ত্বের প্রকাশের জন্য শিরক ও কুফুরী।