ইমাম আহমদের পুত্র হাম্বাল বলেন:
سألت أبا عبدالله عن الأحاديث التي تروى: "إن الله تبارك وتعالى ينزل كل ليلة إلى السماء الدنيا"، و "أن الله يُرى"، و "إن الله يضع قدمه"، وما أشبهه؟ فقال أبو عبدالله: نؤمن بها ونصدق بها، ولا كيف ولا معنى
‘‘বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, মহান আল্লাহ প্রত্যেক রাতে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন, মহান আল্লাহকে দেখা যাবে, মহান আল্লাহ তাঁর পদ স্থাপন করেন, ইত্যাদি। এ ধরনের হাদীসগুলো সম্পর্কে আমি আমার পিতাকে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেন: আমরা এগুলো বিশ্বাস করি, সত্য বলে গ্রহণ করি, কোনো ‘কিভাবে’ নেই এবং কোনো অর্থ নেই (স্বরূপ সন্ধান বা অর্থ সন্ধান ব্যতিরেকে)।’’[1]
এ প্রসঙ্গে ইমাম তিরমিযীর বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। একটি সহীহ হাদীসে রাসূলূল্লাহ ﷺ কিয়ামত দিবসের বর্ণনায় বিভিন্নভাবে মহান আল্লাহর দর্শন, জাহান্নামে তাঁর পদ স্থাপনের ফলে জাহান্নামের সংকুচিত হওয়া ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করেছেন। ইমাম তিরমিযী হাদীসটি উদ্ধৃত করে বলেন:
وقد روي عن النبي ﷺ روايات كثيرة مثل هذا ما يذكر فيه أمر الرؤية... وذكر القدم وما أشبه هذه الأشياء والمذهب في هذا عند أهل العلم من الأئمة مثل سفيان الثوري ومالك بن أنس وابن المبارك وابن عيينة ووكيع وغيرهم أنهم رووا هذه الأشياء ثم قالوا تروى هذه الأحاديث ونؤمن بها ولا يقال كيف؟ وهذا الذي اختاره أهل الحديث أن تروى هذه الأشياء كما جاءت ويؤمن بها ولا تفسر ولا تتوهم ولا يقال كيف وهذا أمر أهل العلم الذي أختاروه وذهبوا إليه
‘‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ অনেক হাদীস বর্ণিত, যেগুলোতে বলা হয়েছে যে, মানুষেরা তাদের রবকে দেখবে, মহান আল্লাহর পায়ের কথা এবং এ জাতীয় বিষয়াদি উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুফিয়ান সাওরী, মালিক ইবন আনাস, ইবনুল মুবারাক, ইবন উ‘আইনা, ওকী ও অন্যান্য ইমাম ও আলিমের মাযহাব এ-ই যে, তাঁরা এগুলো বর্ণনা করেছেন এরপর বলেছেন যে, এ সকল হাদীস এভাবে বর্ণনা করা হবে এবং আমরা এগুলো বিশ্বাস করি। এ বিষয়ে ‘কাইফা’: কিরূপে বা কিভাবে বলা যাবে না। এভাবে মুহাদ্দিসগণের মত এ-ই যে, এ সকল বিষয় যেভাবে এসেছে সেভাবেই বর্ণনা করতে হবে এবং এগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে। এগুলোর কোনো ব্যাখ্যা করা যাবে না, কোনো কল্পনা করা যাবে না এবং একথাও বলা যাবে না যে, কিরূপে বা কিভাবে? আলিমগণ এ মতটিই গ্রহণ করেছেন এবং এটিই তাঁদের মাযহাব।’’[2]
এভাবে আমরা দেখেছি যে, মহান আল্লাহর বিশেষণগুলো ব্যাখ্যা, তুলনা ও স্বরূপসন্ধান ব্যতিরেকে বাহ্যিক অর্থে বিশ্বাস করা এবং এ অর্থের হাদীসগুলো আন্তরিকভাবে বর্ণনা করার বিষয়ে সালাফ সালিহীন ঐকমত্য পোষণ করেছেন। পাশাপাশি কখনো কখনো তাঁদের কেউ কেউ দু-একটি আয়াতের সহজবোধ্য ব্যাখ্যা করেছেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেন:
يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَيُدْعَوْنَ إِلَى السُّجُودِ فَلا يَسْتَطِيعُونَ
স্মরণ করুন, সে দিনের কথা যেদিন পায়ের গোছা উন্মোচিত হবে, সেদিন তাদেরকে ডাকা হবে সাজ্দা করার জন্য, কিন্তু তারা সক্ষম হবে না।’’[3]
এখানে ‘পায়ের গোছা’র ব্যাখ্যায় ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন যে, এ দ্বারা কাঠিন্য বুঝানো হয়েছে, অর্থাৎ যেদিন কাঠিন্য উন্মোচিত হবে। তিনি বলেন:
يريد القيامة والساعة لشدَّتها
‘‘কিয়ামত দিবস ও পুনরুত্থান বুঝানো হয়েছে, তার কাঠিন্যের কারণে।’’[4]
কিয়ামত দিবসের বর্ণনায় মহান আল্লাহ বলেন:
وَجَاءَ رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا
‘‘এবং আগমন করলেন আপনার রব ও ফিরিশতাগণ কাতারে কাতারে।’’[5]
ইমাম ইবন কাসীর বলেন:
روى البيهقي ... عن حنبل أن أحمد بن حنبل تأول قول الله تعالى: (وجاء ربك) أنه جاء ثوابه. ثم قال البيهقي: وهذا إسناد لا غبار عليه.
‘‘বাইহাকী তাঁর সনদে হাম্বাল থেকে বর্ণনা করেছেন, ইমাম আহমদ ‘আগমন করলেন আপনার প্রতিপালক’ কথাটির ব্যাখ্যায় বলেছেন: ‘আগমন করল তাঁর পুরস্কার’। এরপর বাইহাকী বলেন: বর্ণনাটির সনদে কোনো আপত্তি নেই।’’[6]
মহান আল্লাহ বলেন:
كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهَهُ
‘‘সকল বস্ত্তই ধ্বংস হবে শুধু মহান আল্লাহর মুখমণ্ডল ব্যতীত।’’[7]
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম বুখারী বলেন:
إلا ملكه ويقال إلا ما أريد به وجه الله
‘‘শুধু মহান আল্লাহর রাজত্ব ব্যতীত। বলা হয়: শুধু মহান আল্লাহর মুখম-লের (সন্তুষ্টির) জন্য পালিত কর্ম ব্যতীত।’’[8]
মহান আল্লাহর বিশেষণগুলো ব্যাখ্যা ও তুলনামুক্তভাবে গ্রহণের বিষয়ে সালাফ সালিহীন থেকে বর্ণিত অসংখ্য নির্দেশনার পাশাপাশি এরূপ বিচ্ছিন্ন দু-একটি ব্যাখ্যা বর্ণিত হয়েছে। তাঁরাও অন্যত্র বিশেষণ ব্যাখ্যার কঠোর প্রতিবাদ করেছেন। এজন্য পরবর্তী প্রজন্মের আলিমগণ এ বক্তব্যগুলোকে বিশেষণের ব্যাখ্যার অনুমতি বলে গণ্য করেন নি; বরং নির্দিষ্ট একটি আয়াতের ক্ষেত্রে তাঁদের ব্যাখ্যা বলে গণ্য করেছেন। পাশাপাশি বিশেষণ বিষয়ক আয়াত ও হাদীসগুলো ব্যাখ্যামুক্ত, তুলনামুক্ত ও স্বরূপ অনুসন্ধানমুক্তভাবে সরল অর্থে বিশ্বাস ও বর্ণনা করার বিষয়ে তাঁদের ইজমা বা ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে তাঁরা উল্লেখ করেছেন। আমরা দেখলাম যে, ইমাম আবূ হানীফার অন্যতম ছাত্র ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান শাইবানী, ইমাম তিরমিযী, ইমাম ইবন খুযাইমা ও অন্যান্য আলিম এ ইজমার কথা উল্লেখ করেছেন।
এ ইজমার কারণেই প্রসিদ্ধ আশআরী কালামবিদ ইমামুল হারামাইন আবুল মাআলী জুওয়াইনী (৪৭৮ হি) আশআরী মতবাদের প্রসিদ্ধ মত ত্যাগ করে সালাফ সালিহীনের মত গ্রহণ করেন। তিনি আর-রিসালাহ আন-নিযামিয়্যাহ গ্রন্থে বলেন:
والذي نرتضيه رأيا وندين الله به عقيدة اتباع سلف الأمة للدليل القاطع على ان إجماع الأمة حجة فلو كان تأويل هذه الظواهر حتما لأوشك أن يكون اهتمامهم به فوق اهتمامهم بفروع الشريعة وإذا انصرم عصر الصحابة والتابعين على الإضراب عن التأويل كان ذلك هو الوجه المتبع
‘‘আমরা যে মতটি গ্রহণ করছি এবং যে আকীদা গ্রহণ করে মহান আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পন করছি তা হলো উম্মাতের সালফ সালিহীনের অনুসরণ। কারণ উম্মাতের ইজমা বা ঐকমত্য একটি সুনিশ্চিত দলীল। যদি এ সকল বাহ্যিক বিশেষণগুলোর ব্যাখ্যা করা জরুরী হতো তবে নিঃসন্দেহে শরীয়তের ফিকহী মাসআলাগুলো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করার চেয়ে ঈমান-আকীদা বিষয়ক এ সকল আয়াত-হাদীসের ব্যাখ্যার বিষয়ে তাঁরা অনেক বেশি গুরুত্ব প্রদান করতেন। অথচ কোনোরূপ ব্যাখ্যা ছাড়াই সাহাবী ও তাবিয়ীগণের যুগ অতিক্রান্ত হয়ে গেল। এতে প্রমাণিত হলো যে, ব্যাখ্যামুক্ত বিশ্বাসের এ মতটিই অনুসরণযোগ্য আকীদা।’’[9]
ইমামুল হারামাইনের উপরের বক্তব্যটি উদ্ধৃত করে নবম হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও শাফিয়ী ফকীহ আল্লামা হাফিয ইবন হাজার আসকালানী বলেন:
فكيف لا يوثق بما اتفق عليه أهل القرون الثلاثة وهم خير القرون بشهادة صاحب الشريعة
‘‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাক্ষ্য অনুসারে প্রথম তিন প্রজন্মের মানুষেরাই উম্মতের সর্বোত্তম মানুষ। তাঁরা যে বিষয়ে একমত হয়েছেন সে বিষয়ের উপর নির্ভর না করার কোনোই কারণ নেই।’’[10]
সালফ সালিহীনের এ সকল বক্তব্য থেকে আরো স্পষ্ট যে, তাঁরা একমাত্র ওহী বা কুরআন ও হাদীসের বক্তব্যকেই আকীদার উৎস ও ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আকীদা বিষয়ে ওহীর বাইরে কিছু বলতেই তাঁরা রাজি ছিলেন না।
তৃতীয় হিজরী শতকের শুরুতে আববাসী খলীফা মামুন (রাজত্ব ১৯৮-২১৮ হি) মুতাযিলী ধর্মবিশ্বাস গ্রহণ করেন এবং একে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করেন। আমরা দেখেছি যে, মুতাযিলী আকীদার অন্যতম বিষয় ‘‘কুরআন সৃষ্ট বা মাখলূক’’ বলে বিশ্বাস করা এবং আখিরাতে আল্লাহর দর্শন অস্বীকার করা। দুটি বিষয়ই মহান আল্লাহর মর্যাদা ও অতুলনীয়ত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য তারা দাবি করেন। তাদের মতে কথা বলা, আরশে উপরে থাকা ইত্যাদি কর্মের জন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রয়োজন হয়, মহান আল্লাহর ক্ষেত্রে এরূপ মানবীয় গুণ আরোপ করা কুফর। অনুরূপভাবে তাদের মতে মহান আল্লাহ নিরাকার। তাঁকে দেখা যাবে বলে বিশ্বাস করার অর্থই কোনো না কোনো ভাবে তাঁর আকৃতি দাবি করা। আর মহান আল্লাহর আকৃতি আছে বলে বিশ্বাস করা কুফরী। তাদের দাবিকৃত এ কুফরী থেকে মুসলিমদের বাঁচানোর জন্য খলীফা মামুন এবং পরবর্তী দুজন খলীফা মু’তাসিম (২১৮-২২৭ হি) ও ওয়াসিক (২২৮-২৩২ হি) এ আকীদা গ্রহণের জন্য সকল মুসলিমকে নির্দেশ দেন। এ মত গ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী আলিমদেরকে গ্রেফতার করে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয়। কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। প্রায় ৩০ বৎসরের এ কুফরী মতাদর্শের শাসন ও অত্যাচারের সময়ে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আলিমগণের অন্যতম নেতা ছিলেন ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বাল (১৬৪-২৪১ হি)।
ইমাম আহমদকে কারাগারের মধ্যে খলীফা মু’তাসিমের সম্মুখে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। বিচারপতি আহমদ ইবন আবী দুআদ ও অন্যান্য মুতাযিলী পণ্ডিত খলীফার সামনে ইমাম আহমদের সাথে বির্তক করেন। তিনি তাদেরকে বারবারই বলেন আপনারা যে আকীদা দাবি করছেন তার পক্ষে কুরআন বা হাদীস থেকে অন্তত একটি বক্তব্য প্রদান করুন। কুরআন, হাদীস বা সাহাবীগণের বক্তব্য থেকে একটি সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রদান করুন যাতে বলা হয়ছে: কুরআন সৃষ্ট, আখিরাতে আল্লাহকে দেখা যাবে না অথবা মহান আল্লাহর বিশেষণ বিষয়ক বক্তব্যগুলোকে প্রকাশ্য অর্থে গ্রহণ করা যাবে না।
মুতাযিলীগণ বিভিন্ন আকলী প্রমাণ পেশ করেন। ইমাম আহমদ সেগুলো খণ্ডন করেন এবং কুরআন বা হাদীসের সুস্পষ্ট বক্তব্য পেশ করার দাবিতে অটল থাকেন। তখন বিচারপতি আহমদ ইবন আবী দুআদ বলেন: হে আমীরুল মুমিনীন, এ ব্যক্তি একজন মুশরিক। একে হত্যা করুন। এর রক্তের দায় আমি বহন করব। এ সময়ে তাঁকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করা হয়। ÿত-বিÿত অর্ধমৃত ইমাম আহমদকে খলীফা বলেন, আপনাকে আমি শ্রদ্ধা করি, আপনি উম্মাতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলিম ও ফকীহ। আপনি রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং আমার আনুগত্যের জন্য জনগণকে নির্দেশনা দেন। আমি আমার পুত্র হারূন-এর জন্য যেরূপ মমতা অনুভব করি আপনার জন্যও অনুরূপ মমতা অনুভব করি। তবে কুরআন আল্লাহর অনাদি বাণী, আখিরাতে আল্লাহকে দেখা যাবে ইত্যাদি কুফরী মতবাদ পরিত্যাগ না করলে আপনাকে আমি হত্যা করতে বাধ্য হব। আপনি এমন কিছু বলুন যে, আমি আপনাকে ছেড়ে দিতে পারি। আমি নিজে হাতে আপনার বাঁধন খুলে দেব। অর্ধমৃত ইমাম আহমদ বারবার বলতে থাকেন:
أعطوني شيئا من كتاب الله وسنة رسوله.
‘‘আমাকে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাত থেকে কিছু প্রদান করুন।’’[11]
এভাবে আমরা দেখছি যে, প্রসিদ্ধ চার ইমামসহ তাবিয়ী ও তাবি-তাবিয়ী যুগের সকল ইমাম একমত হয়েছেন যে, আকীদার মূল সূত্র, ভিত্তি ও দলীল ওহী। ওহীর বক্তব্য সরল ও প্রকাশ্য অর্থে গ্রহণ করা, ওহী যা বলেছে তা-ই বলা এবং ওহীতে যা বলা হয় নি তা আকীদার অন্তর্ভুক্ত না করাই ইসলামী আকীদার মূলসূত্র।
আর এখানেই আহলুস সুন্নাহ ও আহলুল বিদআতের পার্থক্য। আহলুস সুন্নাহ কুরআন ও হাদীসের বক্তব্যকে হুবহু বিশ্বাস ও মান্য করেন। তাঁরা ‘সুন্নাত’-এর সাথে কোনো কিছু সংযোজন বা বিয়োজন করতে রাজি হন না। পক্ষান্তরে আহলুল বিদআত কুরআন বা হাদীসের বক্তব্যের সাথে সংযোজন, বিয়োজন বা ব্যাখ্যা করে উক্ত সংযোজন বা ব্যাখ্যাকেই দীনের মূল বানিয়ে দেন। উপরন্তু যারা ওহীর বক্তব্যকে হুবহু গ্রহণ করেন তাঁদেরকে কাফির, বিভ্রান্ত ইত্যাদি বলে শোরগোল করেন এবং সম্ভব হলে শক্তি প্রয়োগ করে তাঁদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে সচেষ্ট হন। প্রসিদ্ধ মুতাযিলী পণ্ডিত আল্লামা যামাখশারীর ‘কাশ্শাফ’ নামক তাফসীর গ্রন্থে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্যগুলো অধ্যয়ন করলেই পাঠক বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
[2] তিরমিযী, আস-সুনান ৪/৬৯১ (সিফাতুল জান্নাহ, খুলুদু আহলিল জান্নাত: হাদীস নং ২৫৫৭)
[3] সূরা (৬৮) কালাম: ৪২ আয়াত।
[4] ফার্রা, মাআনিল কুরআন ৫/১২৯; তাবারী, তাফসীর ২৩/৫৫৯; বাইহাকী, আল-আসমা ওয়াস সিফাত ২/১৮৪-১৮৬; সুয়ূতী, আদ-দুররুল মানসূর (দারুল ফিকর) ৮/২৫৫।
[5] সূরা (৮৯) ফাজর: ২২ আয়াত।
[6] ইবন কাসীর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১০/৩৬১।
[7] সূরা (২৮) কাসাস: ৮৮ আয়াত।
[8] বুখারী, আস-সহীহ ৪/১৭৮৭।
[9] ইবন হাজার আসকালানী, ফাতহুল বারী ১৩/৪০৭।
[10] ইবন হাজার আসকালানী, ফাতহুল বারী ১৩/৪০৭-৪০৮।
[11] যাহাবী, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ১১/২৪৬-২৪৮।