কুরআন-হাদীসে বিভিন্ন প্রকারের শিরকের কথা উল্লেখ করে সেগুলো থেকে সাবধান করা হয়েছে। এখানে অতি সংক্ষেপে কিছু বিষয় উল্লেখ করছি।
৪. ৪. ১. প্রতিপালনের শিরক
আমরা দেখেছি যে, কাফিরগণ মূলত আল্লাহর প্রতিপালনের একত্বে বিশ্বাস করত, তবে তারা এ বিষয়ক বিভিন্ন শিরকে নিপতিত হতো। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
৪. ৪. ১. ১. আত্মীয়তার শিরক
আল্লাহর কোনো আত্মীয় বা সন্তান আছে বলে বিশ্বাস করা শিরক। ইহূদী, খৃস্টান, আরবের মুশরিকগণ ও অন্যান্য অনেক জাতি এরূপ শিরকে লিপ্ত ছিল। আমরা সূরা ইখলাস আলোচনা প্রসঙ্গে দেখব যে, মূলত তারা সন্তান বলতে ‘‘স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান’’ বুঝাতো না; বরং ‘‘বিশেষ প্রিয়পাত্র’’ বুঝাতো, যারা ‘‘মাখলূক’’ বা ‘‘বান্দা’’-র স্তর অতিক্রম করে ‘‘পুত্রত্ব’’, ‘‘আত্মীয়তা’’ বা ‘‘মাহবূবিয়্যাতের’’ স্তরে পৌঁছে গিয়েছেন। কখনো তারা বুঝাতো যে, মহান আল্লাহ তাঁর নূর বা ‘‘যাত’’ (সত্তার) উপাদান (light from light/ same substance) দিয়ে তাঁকে সৃষ্টি করেছেন; কাজেই তিনি তাঁর পুত্র। কোনো কোনো ইহূদী সম্প্রদায় উযাইর (আঃ)-কে, খৃস্টানগণ ঈসা (আঃ)-কে, আরবের কাফিরগণ ফিরিশতাগণকে, জিনগণকে ও কোনো কোনো ‘‘মাহবূব’’ মানুষকে আল্লাহর পুত্র, কন্যা বা সন্তান বলে বিশ্বাস করত।