আল-ফিকহুল আকবর আল-ফিকহুল আকবারের বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
২. ৪. ৬. বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার সমতা বনাম মর্যাদার পার্থক্য

সকল নবী-রাসূল আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তাঁরা সকলেই পাপ থেকে সংরক্ষিত ছিলেন। আল্লাহ তাঁদেরকে অলৌকিক চিহ্ন বা মুজিযা দিয়ে সাহায্য করেন। সকলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা মুমিনের ঈমানের অংশ। বিশ্বাস, ভালবাসা ও ভক্তির দিক থেকে সকল নবীর অধিকার সমান। মুমিনগণ নবীগণের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেন না। আল্লাহ বলেন:


آَمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آَمَنَ بِاللَّهِ وَمَلائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ


‘‘রাসূল তার প্রতি তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছে এবং মুমিনগণও। তাদের সকলে আল্লাহে, তাঁর মালাকগণে, তাঁর কিতাবসমূহে এবং তাঁর রাসূলগণে ঈমান এনেছে। (তারা বলে): ‘আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোনো তারতম্য করি না।’[1]

বিশ্বাস, ভক্তি ও ভালবাসার ক্ষেত্রে সাম্যের পাশাপাশি নবী-রাসূলগণের মধ্যে কারো মর্যাদা কারো চেয়ে বেশি। মহান আল্লাহ বলেন:


تِلْكَ الرُّسُلُ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ مِنْهُمْ مَنْ كَلَّمَ اللَّهُ وَرَفَعَ بَعْضَهُمْ دَرَجَاتٍ


‘‘এ রাসূলগণ, তাদের মধ্যে কতককে আমি কতকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে এমন কেউ রয়েছে যার সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন, আবার কাউকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন।’’[2]

এভাবে আমরা সকল নবীকে সমান সম্মানের সাথে বিশ্বাস করি। আরো বিশ্বাস করি যে, তাঁদের মধ্যে কারো মর্যাদা আল্লাহর কাছে অন্যদের চেয়ে বেশি। আর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)।

[1] সূরা (২) বাকারা: ২৮৫ আয়াত। আরো দেখুন: সূরা (২) বাকারা ১৩৬ আয়াত ও সূরা (৩) আল-ইমরান ৮৪ আয়াত।

[2] সূরা (২) বাকারা: ২৫৩ আয়াত।