পূর্ববর্তী নবীগণের নুবুওয়াত অস্বীকার করার ক্ষেত্রে কাফিরগণের বড় ‘দলিল’ ছিল যে, নবীগণ তাদের মতই মানুষ, কাজেই তাঁরা নবী হতে পারেন না।[1] অপরদিকে কোনো কোনো বিভ্রান্ত সম্প্রদায় তাদের নবীদের মুজিযাকে ‘‘অলৌকিক ক্ষমতা’’ বলে মনে করে তাঁদের ইবাদত করেছে এবং আল্লাহর বিশেষ বান্দা হিসেবে তাঁদেরকে ‘আল্লাহর পুত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছে।[2] কুরআনে এ সকল বিভ্রান্তি অপনোদন করে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে যে, নবীগণ অন্য সকল মানুষের মতই আল্লাহর বান্দা ও মানুষ ছিলেন।[3] তাঁরা সকলেই পুরুষ ছিলেন।[4] তাঁরা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত ও ওহীপ্রাপ্ত মানুষ ছিলেন। তাঁরা কোনো ‘অলৌকিক ক্ষমতা’র অধিকারী ছিলেন না। আল্লাহর নির্দেশ ও ইচ্ছার বাইরে কোনো অলৌকিক নিদর্শন বা মুজিযা দেখানোর কোনো ক্ষমতা তাঁদের ছিল না। তাঁদের মর্যাদা আল্লাহর প্রিয়তম বান্দা ও রাসূল হওয়ায়; আল্লাহর ক্ষমতা, গুণাবলি বা ইবাদত পাওয়ার বিষয়ে আল্লাহর শরীক হওয়ায় নয়।[5]
[2] সূরা (৯) তাওবা: ৩০ আয়াত।
[3] সূরা (১৪) ইবরাহীম: ১০, ১১ আয়াত; সূরা (২১) আম্বিয়া: ৩, ৭; সূরা (২৩) মুমিনূন: ২৪ আয়াত।
[4] সূরা (১২) ইউসুফ: ১০৯ আয়াত; সূরা (১৬) নাহল: ৪৩ আয়াত; সূরা (২১) আম্বিয়া: ৭ আয়াত।
[5] সূরা: (৩) আল-ইমরান: ১৪৪; (৫) মায়িদা: ৭৫; (৬) আনআম: ৫৭-৫৮, ৯১; (১৩) রা’দ: ৩৮; (১৪) ইবরাহীম: ১০-১১; (১৭) বানী ইসরাঈল: ৯৩; (২১) আম্বিয়া: ৩; (২৩) মুমিনূন: ২৪, ৩৩; সূরা (২৫) ফুরকান: ২০; (২৬) শুআরা: ১৫৪, ১৫৬; (৩৬) ইয়াসীন: ১৫; (৬০) মুমতাহিনা: ৪ আয়াত।