তাবুক হতে নাবী কারীম (ﷺ)-এর প্রত্যাবর্তনের পর হিমইয়ার সম্রাট অর্থাৎ হারিস বিন আবদে কুলাল, না’ঈম বিন আবদে কুলাল, নু’মান এবং যূ রু’ঈন, হামদান ও মু’আফিরের অধিনায়কের পত্র আসে। পত্রবাহক ছিলেন মালিক বিন মুররাহ রাহাভী। ঐ সম্রাটগণ ইসলাম গ্রহণ এবং শিরক্ ও শিরককারী হতে বিচ্ছিন্নতা অবলম্বনের সংবাদাদিসহ পত্র প্রেরণ করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের পত্রের উত্তরে পত্র লিখে ঈমানদারদের প্রাপ্য এবং দায়িত্ব সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন। এ পত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অঙ্গীকারাবদ্ধদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর অঙ্গীকারাবদ্ধদের জন্য শর্ত সাপেক্ষ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর দায়িত্বের কথা উল্লেখ করেন। এতে শর্ত ছিল তাঁরা যথারীতি কর পরিশোধ করবেন। অধিকন্তু, নাবী কারীম (ﷺ) কতিপয় সাহাবা (রাঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণ করেন। মু’আয বিন জাবালকে এ দলের আমীর নিযুক্ত করেন।
তাঁকে ‘আদন’ এর দিকে ‘সাকূন ও সাকাসিক’ এর নামক উঁচু অঞ্চলের দায়িত্ব প্রদান করেন। তিনি ‘হূরূব’এর ক্বাযী ও বিচারক এবং যাকাত ও যিযিয়াহ উসূলকারী ছিলেন। তিনি তাদের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতেন। আর আবূ মূসা আশয়ারী (রাঃ) কে ‘যুবায়দ’, ‘মারিব’, ‘যামাআ’, ‘সাহিল’ নামক নিম্নাঞ্চলের দায়িত্বে প্রেরণ করে বললেন, (يسرا ولا تعسرا, وبشرا ولا تنفرا, وتطاوعا ولا تختلفا) ‘‘সহজ করবে, কঠিন করবেনা; সুসংবাদ দিবে, ভয় দেখাবে না; আনুগত্য করবে, মতবিরোধ করবেনা।’’ মু’আয (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মৃত্যু অবধি ইয়ামানে অবস্থান করেন আর আবূ মূসা আশয়ারী বিদায় হজ্জে রাসূল (ﷺ)-এর নিকট আগমন করেন।