এ সনে (৯ম হিজরী) যে সকল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয় তা হচ্ছে যথাক্রমে নিম্নরূপ:
১. তাবুক হতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রত্যাবর্তনের পর উওয়াইমের আজলানী ও তার স্ত্রীর মধ্যে লি’আন হয়। (স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি ব্যভিচারের অপবাদ দেয় আর তার সাক্ষী না থাকে তাহলে যে পদ্ধতির মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো হয় তাকে লি’আন বলা হয়।)
২. গামিদিয়া মহিলা যে নাবী কারীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাজির হয়ে ব্যভিচারের স্বীকৃতি দিয়েছিল তাকে প্রস্তরাঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছিল। এ মহিলার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যখন শিশুটি দুগ্ধ পান থেকে বিরত হয়েছিল তখন তাকে প্রস্তরাঘাত করা হয়েছিল।
৩. সম্রাট আসাহামা নাজ্জাশী মৃত্যুবরণ করেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর গায়েবানা জানাযা আদায় করেন।
৪. নাবী কারীম (ﷺ)-এর কন্যা উম্মু কুলসুম মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে নাবী কারীম (ﷺ) গভীরভাবে শোকাভিভূত হন। তিনি উসমানকে বলেন যে, (لَوْ كَانَتْ عِنْدِيْ ثَالِثْةً لَزَوَّجْتُكَهَا) ‘আমার তৃতীয় কন্যা থাকলে তার বিবাহও তোমার সঙ্গে দিতাম’।
৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর তাবূক হতে প্রত্যাবর্তনের পর মুনাফিক্ব নেতা আব্দুল্লাহ বিন উবাই মৃত্যুবরণ করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং উমার (রাঃ)-এর বাধা দান সত্ত্বেও তার সালাতে জানাযা আদায় করেন। পরে কুরআন শরীফের আয়াত অবতীর্ণ হয়ে তাতে উমার (রাঃ)-এর মত সমর্থন করে মুনাফিক্বদের জানাযা আদায় করতে নিষেধ করা হয়।