নাত্বাত ও শাক্ব অঞ্চল বিজয়ের পর রাসূলে কারীম (ﷺ) কাতীবা, অতীহ এবং সালালিম অঞ্চলের প্রতি মনোনিবেশ করলেন। সালালিম বনু নাযির গোত্রের এক প্রসিদ্ধ ইহুদী আবুল হুক্বাইক্বের দূর্গ ছিল। এদিকে নাত্বাত ও শাক্ব অঞ্চলের বিজিত ইহুদীগণ এখানে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল এবং এ দূর্গের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অধিকতর শক্তিশালী এবং সুদৃঢ় করেছিল।
এ তিনটি দূর্গের কোনটিতে যু্দ্ধ হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে যুদ্ধ বিশারদগণের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। ইবনু ইসহাক্বের বর্ণনা সূত্রে জানা যায় যে, কোমুস দূর্গ বিজয়ের জন্য যুদ্ধ করা হয়েছিল এবং বর্ণনাভঙ্গী থেকে এটা বুঝা যায় যে, যুদ্ধের মাধ্যমেই এ দূর্গের উপর মুসলিমগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ দূর্গ স্বেচ্ছায় সমর্পণের ব্যাপারে মুসলিমগণের সঙ্গে ইহুদীদের কোন কথাবার্তা হয়নি।[1]
কিন্তু ওয়াক্বিদী স্পষ্টভাবে দুটি শব্দে প্রকাশ করেছেন যে, এ অঞ্চলের দূর্গ তিনটি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মুসলিমগণের হাতে সমর্পণ করা হয়। সম্ভবত কোমুস দূর্গটি নিয়ে প্রথমাবস্থায় যুদ্ধ হয় এবং তারপর আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। তবে অন্য দুটি যুদ্ধ ছাড়াই মুসলিমগণের হাতে সমর্পণ করা হয়।
অতঃপর মুসলিম বাহিনী কাতীবা গমণ করে সেখানকার অধিবাসীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবরোধ সৃষ্টি করেন। এ অবরোধ চৌদ্দ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। অবরোধ কালে ইহুদীগণ সে সময় পর্যন্ত দূর্গ হতে বাহিরে আসে নি যে পর্যন্ত না রাসূলে কারীম (ﷺ) মিনজানীক যুদ্ধ ব্যবহারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ যুদ্ধ ব্যবহারের আশঙ্কায় যখন তারা বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে ভীত হয়ে পড়ল তখন সন্ধির মনোভাব ব্যক্ত করল।