ইবনু আবিল হুক্বাইক্ব সর্ব প্রথম রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এ বলে সংবাদ প্রেরণ করে যে, ‘আমি কি আপনার নিকট আগমণ করে আপনার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারি? নাবী কারীম (ﷺ) বললেন, ‘হ্যাঁ’’।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’র হ্যাঁ সূচক উত্তর লাভের পর সে তাঁর খিদমতে উপস্থিত হয়ে এ শর্তের ভিত্তিতে সন্ধি করল যে, দূর্গের মধ্যে যে সকল সৈন্য অবস্থান করছে তাদের জীবন রক্ষা করতে হবে, তাদের পরিবারবর্গকে তাদের সঙ্গে থাকতে দিতে হবে (অর্থাৎ তাদেরকে দাসাদাসী বানানো যাবে না), পরিবার পরিজনসহ তাদের খায়বার জমিন ছেড়ে বাইরে যেতে দিতে হবে। তাদের সম্পদাদি, যথা- বাগ-বাগীচা, সোনাদানা, অশ্ব, যুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য লৌহবর্ম ইত্যাদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট সমর্পণ করবে। শুধু সে কাপড়গুলো তারা সঙ্গে নিতে পারবে যা মানুষের লজ্জা নিবারণ ও জীবন ধারণের প্রয়োজন হবে।[1]

রাসূল কারীম (ﷺ) বললেন,‏(‏وَبَرِئَتْ مِنْكُمْ ذِمَّةُ اللهِ وَذِمَّةُ رَسُوْلِهِ إِنْ كَتَمْتُمُوْنِيْ شَيْئًا‏)‏ ‘যদি তোমরা আমার নিকট থেকে কিছু গোপন কর তাহলে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ﷺ) দায়িত্ব মুক্ত হবেন।’

ইহুদীগণ এ সকল শর্ত মেনে নেয়ার ফলে মুসলিমগণের সঙ্গে তাদের সন্ধি হয়ে গেল।[2] এ সন্ধির ফলশ্রুতিতে আলোচ্য দূর্গ তিনটি মুসলিমগণের অধিকারে এসে যায় এবং এভাবে খায়বার বিজয় সম্পূর্ণ হয়।

[1] কিন্তু সুনানে আবূ দাউদের মধ্যে এ কথা উল্লেখিত হয়েছে যে, এ শর্তের উপর তিনি সন্ধি চুক্তি করেছিলেন যে, খায়বার ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় নিজ নিজ সওয়ারীর উপর যে পরিমাণ সম্পদ নিয়ে যাওয়া সম্ভব তা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি তাদের দেয়া হবে। দ্র: আবূ দাউদ ২য় খন্ড পৃঃ।

[2] যাদুল মা‘আদ ২য় খন্ড ১৩৬ পৃঃ।