উল্লেখিত নাজ্জাশির নাম ছিল আসহামা বিন আবযার। নাবী কারীম (ﷺ) তাঁর নামে যে পত্রখানা লিখেছিলেন তা ‘আমর বিন উমাইয়া যামরীর হাতে ৬ষ্ঠ হিজরীর শেষ কিংবা ৭ম হিজরীর প্রথমভাগে প্রেরণ করেছিলেন। তাবারী এ পত্রের রচনা বা বিষয়বস্তু সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এ সম্পর্কে গভীর ভাবে চিন্তা ভাবনা করলে এটা মনে হয় যে, এ পত্রটি সেই পত্র নয় যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুদায়বিয়াহর সন্ধির পর লিখেছিলেন বরং এটা ছিল সেই পত্র যা নাবী কারীম (ﷺ) মক্কা যুগে জা’ফরকে তাঁর হাবশ হিজরতের সময় দিয়েছিলেন। কারণ, পত্রের শেষাংশে ঐ সকল হিজরতকারীর সম্পর্কে বলা হয়েছে নিম্নলিখিত ভাষায় :
(وقد بعثت إليكم ابن عمي جعفراً ومعه نفر من المسلمين، فإذا جاءك فأقرهم ودع التجبر)
‘আমি আপনার নিকট আমার চাচাতো ভাই জা’ফরকে মুসলিমগণের একটি দলসহ প্রেরণ করলাম। যখন তাঁরা আপনার নিকট পৌঁছবেন তখন তাঁদেরকে আপনার নিজের পাশে আশ্রয় দেবেন এবং কোন প্রকার জোর জবরদস্তি অবলম্বন করবেন না।’
ইমাম বায়হাক্বী ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে অন্য একটি পত্রের বিষয়বস্তু বর্ণনা করেছেন যা নাবী কারীম (ﷺ) নাজ্জাশীর নিকট প্রেরণ করেছিলেন। এর অনুবাদ হল এরূপ :
(بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ . هٰذَا كِتَابٌ مِّنْ مُحَمَّدٍ رَّسُوْلِ اللهِ إِلَى النَّجَاشِيْ، الْأَصْحَمُ عَظِيْمُ الْحَبَشَةِ، سَلَامٌ عَلٰى مَنْ اِتَّبَعَ الْهُدٰي، وَآمَنَ بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ، وَشَهِدَ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّااللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَمْ يَتَّخِذْ صَاحِبَهُ وَلَا وَلَداً، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ، وَأَدْعُوْكَ بِدِعَايَةِ الْإِسْلَامِ، فَإِنِّيْ أَنَا رَسُوْلُهُ فَأَسْلِمْ تَسْلَمْ،
(يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلٰى كَلَمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلاَّ نَعْبُدَ إِلاَّ اللهَ وَلاَ نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَلاَ يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضاً أَرْبَابًا مِّن دُوْنِ اللهِ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُوْلُوْا اشْهَدُوْا بِأَنَّا مُسْلِمُوْنَ)
فإن أبيت فعليك إثم النصارى من قومك)
‘এটি নাবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পক্ষ হতে হাবশের সম্রাট নাজ্জাশী আসহামার নিকট প্রেরিত একটি পত্র।
সালাম তাদের উপর যারা হেদায়াত অনুসরণ করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর উপর বিশ্বাস করবে। আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়, তাঁর কোনই অংশীদার নেই, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ উপাস্য হওয়ার উপযুক্ত নয়। তিনি কোন স্ত্রী গ্রহণ করেন নি এবং তাঁর কোন সন্তানও নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দান করছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা এবং রাসূল। আমি আপনাকে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য দাওয়াত দিতেছি। কারণ, আমি আল্লাহর রাসূল (ﷺ), অতএব, ইসলাম গ্রহণ করুন তাহলে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।’
‘হে কিতাব প্রাপ্ত ব্যক্তিগণ! এমন এক কথার দিকে আসুন যা আমাদের এবং আপনাদের মাঝে সমান তা এই যে, আমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও উপাসনা করি না, তাঁর কোন অংশীদার গণ্য এবং আমাদের মধ্যে কেউ আল্লাহ ছাড়া ভিন্ন কোন রবের কথা চিন্তা করি না। সুতরাং যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে বলে দাও যে সাক্ষী থাক, আমরা কিন্তু মুসলিম। যদি আপনি (এ দাওয়াত) গ্রহণ না করেন তবে আপনার উপর নিজ জাতি নাসারাদের (খ্রিষ্টানদের) পাপ বর্তাবে।’’ [সূরাহ আলু ‘ইমরান (৩) : ৬৪]
ডক্টর হামিদুল্লাহ সাহেব (প্যারিস) ভিন্ন একটি পত্রের বিষয়বস্তুর কথা উল্লেখ করেছেন যা নিকট অতীতে হস্তগত হয়েছে। শুধুমাত্র একটি শব্দের পার্থক্যের প্রেক্ষিতে আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেমের গ্রন্থ যাদুল মাআদেও উলেলখিত হয়েছে। এ পত্রখানার বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের ব্যাপারে ডক্টর সাহেব যথেষ্ট শ্রম স্বীকার করেছেন। নতুন যুগের আবিস্কারসমূহের নিরীখে তথ্যাদি চয়ন করে এ পত্রখানার ফটো কিতাবে সন্নিবেশিত করেছেন। পত্রখানার বিষয়বস্তু হচ্ছে নিম্নরূপ :
(بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ . مِنْ مُحَمَّدٍ رَّسُوْلِ اللهِ إِلَى النَّجَاشِيْ عَظِيْمُ الْحَبَشَةِ، سَلَامٌ عَلٰى مَنْ اِتَّبَعَ الْهُدٰى، أَمَّا بَعْدُ:
فَإِنِّيْ أَحْمَدُ إِلَيْكَ اللهُ الَّذِيْ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ عِيْسٰى بْنَ مَرْيَمَ رُوْحُ اللهِ وَكَلِمْتُهُ أَلْقَاهَا إِلٰى مَرْيَمَ الْبُتُوْلِ الطَّيِّبَةِ الْحَصِيْنَةِ، فَحَمَلَتْ بِعِيْسٰى مِنْ رُّوْحِهِ وَنَفْخِهِ، كَمَا خَلَقَ آدَمَ بِيَدِهِ، وَإِنِّيْ أَدْعُوْ إِلَى اللهَ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، وَالْمُوَالَاةُ عَلٰى طَاعَتِهِ، وَأَنْ تَتَّبِعْنِيْ، وَتُؤْمِنَ بِالَّذِيْ جَاءَنِيْ، فَإِنِّيْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنِّيْ أَدْعُوْكَ وَجُنُوْدَكَ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَقَدْ بَلَّغْتُ وَنَصَحَتْ، فَاَقْبِلْ نَصِيْحَتِىْ، وَالسَّلَامُ عَلٰى مَنْ اِتَّبَعَ الْهُدٰى)
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম
আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পক্ষ হতে হাবশের সম্মানিত সম্রাট নাজ্জাশীর নামে :
সে ব্যক্তির উপর সালাম যে হেদায়াতের অনুসরণ করবে। অতঃপর আমি আপনার প্রতি ঐ আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। যিনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। যিনি পবিত্র এবং শান্তি বিধানকারী, নিরাপত্তা প্রদানকারী, সংরক্ষক এবং তত্ত্বাবধায়ক। আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, ঈসা (আঃ) বিন মরিয়ম আল্লাহ প্রদত্ত আত্মা এবং তাঁর কালেমা। আল্লাহ তাঁকে পবিত্রা এবং সতী-সাধ্বী মরিয়মের প্রতি নিক্ষেপ করেছিলেন এবং তাঁর প্রদত্ত আত্মা ও ফুৎকারের মাধ্যমে মরিয়ম ঈসার জন্য গর্ভ ধারণ করেছিলেন, যেমন ভাবে আদমকে স্বীয় কুদরতের হাত দ্বারা সৃষ্টি করেছিলেন। আমি এক আল্লাহর প্রতি যাঁর কোনই অংশীদার নেই এবং তাঁর আনুগত্যের উপর পরস্পর পরস্পরের প্রতি সাহায্য সহানুভূতির উদ্দেশ্যে আহবান জানাচ্ছি এবং সে কথার প্রতি ডাক দিচ্ছি যে, আপনি আমার অনুসরণ ও অনুকরণ করবেন এবং আমার উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করবেন। কারণ, আমি আল্লাহর প্রেরিত রাসূল (ﷺ)। আমি আপনাদের এবং আপনাদের সৈন্য সম্পদকে আল্লাহর প্রতি যিনি মহা-সম্মানিত ও মহা মহীয়ান- আহবান জানাচ্ছি। আল্লাহ আমার উপর যে দায়িত্ব কর্তব্য অর্পণ করেছেন তা আপনাদের পৌঁছে দিয়ে তা গ্রহণ করার জন্য উপদেশ প্রদান করলাম। অতএব আমার উপদেশ গ্রহণ করুন। সে ব্যক্তির জন্য সালাম যিনি হিদায়াত গ্রহণ ও অনুসরণ করবেন।[1]
ডক্টর হামিদুল্লাহ পূর্ণ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন যে, এটি সে পত্র রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা হুদায়বিয়াহর সন্ধির পরে নাজ্জাশীর নিকট প্রেরণ করেছিলেন। এ পত্রের প্রমাণপঞ্জী ভিত্তিক তথ্যাদি নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করলে এর বিশুদ্ধতার ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকে না। কিন্তু এ কথার কোন দলিল পাওয়া যায় না যে, নাবী কারীম (ﷺ) হুদায়বিয়াহর পরে এ পত্রখানা প্রেরণ করেছিলেন, বরং ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় ইমাম বায়হাকী যে পত্রখানা উদ্ধৃত করেছেন তার বিষয় বস্তুর মিল ঐ সকল পত্রের সঙ্গে পরিলক্ষিত হয় নাবী কারীম (ﷺ) হুদায়বিয়াহর সন্ধির পরে খ্রিষ্টান সম্রাট এবং সমাজপতিগণের নিকট যে সকল পত্র লিখেছিলেন। কারণ, উল্লেখিত পত্রসমূহে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে ভাবে আয়াতে কারীমাহ :
(يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلٰى كَلَمَةٍ...)
উদ্ধৃত করেছেন, অনুরূপভাবে বায়হাক্বীর বর্ণনাকৃত পত্রেও এ আয়াতে কারীমার উদ্ধৃতি রয়েছে। তাছাড়া, এ পত্রে স্পষ্টভাবে আসহামার নামও উল্লেখিত হয়েছে। কিন্তু ডক্টর হামিদুল্লাহর উদ্ধৃত পত্রে কারো নামের উল্লেখ নেই। এ কারণে আমার জোরালো ধারণা হচ্ছে, ডক্টর হামিদুল্লাহর উদ্ধৃত পত্রখানা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে সে পত্র যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসহামার মৃত্যুর পর তার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তির নামে লিখেছিলেন এবং সম্ভবত এ কারণেই ওর মধ্যে কারও নাম উল্লেখিত হয় নি।
পরে উল্লেখিত তরতীরের ব্যাপারে আমার নিকট কোনই প্রমাণ নেই, বরং ওর ভিত্তি শুধু ঐ অন্তর্নিহিত প্রমাণাদি যা উল্লেখিত পত্রসমূহের রচনা বা বিষয়বস্তু হতে পাওয়া যায়। তবে ডক্টর হামিদুল্লাহর উপস্থাপনের ব্যাপারে আমি অবাক হচ্ছি এই কারণে যে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনা হতে বায়হাকীর উদ্ধৃত পত্র খানাকেই পূর্ণ দৃঢ়তার সাথে নাবী কারীম (ﷺ)-এর সে পত্র সাব্যস্ত করেছেন যা আসহামার মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরাধিকারীর নামে লিখেছিলেন, অথচ এ পত্রে স্পষ্টভাবে আসহামার নাম উল্লেখিত হয়েছে। প্রকৃত জ্ঞান আছে আল্লাহর নিকটে।[2]
যাহোক, যখন ‘আমর বিন উমাইয়া যামরী (রাঃ) নাবী কারীম (ﷺ)-এর পত্র খানা নাজ্জাশীর নিকট সমর্পণ করলেন, তখন নাজ্জাশী তা নিয়ে চোখের উপর রাখলেন এবং সিংহাসন থেকে অবতরণ করে জা’ফর বিন আবী ত্বালীবের নিকট ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর নাবী কারীম (ﷺ)-এর নিকট পত্র লিখেন যার বিষয়বস্তু ছিল নিম্নরূপ :
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম
আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর খিদমতে নাজ্জাশী আসহামার পক্ষ হতে,
হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আল্লাহর তরফ হতে আপনার উপর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক । আল্লাহ তা‘আলা এমন সত্তা যিনি ব্যতীত অন্য কেউ উপাসনার উপযু্ক্ত নয়। অতঃপর হে আল্লাহর রাসূল! আপনার অতীব মূল্যবান পত্রখানা আমার হস্তগত হয়েছে যার মধ্যে আপনি নাবী ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন। আকাশ ও পৃথিবীর মালিক আল্লাহর কসম! আপনি যা উল্লেখ করেছেন ঈসা (আঃ) তা হতে এক কণাও অতিরিক্ত ছিলেন না। তিনি ঠিক তেমনটি ছিলেন যেমনটি আপনি উল্লেখ করেছেন।[3]
অতঃপর আপনি যা কিছু আমাদের নিকট প্রেরণ করেছেন আমরা তা অবগত হলাম এবং আপনার চাচাত ভাই ও সাহাবাবৃন্দকে আপ্যায়ন করলাম। সুতরাং আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আপনি সত্যই আল্লাহর রাসূল। আমি আপনার পত্রের মাধ্যমে ইসলামের প্রতি অঙ্গীকার গ্রহণ করলাম এবং আপনার চাচাত ভাইয়ের হাতে হাত রেখে আল্লাহ রাববুল আলামীনের উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহণ করলাম।[4]
নাবী কারীম (ﷺ) নাজ্জাশীকে এ কথাও বলেছিলেন যে, তিনি যেন জা’ফর এবং অন্যান্য হাবশ মুহাজিরদের পাঠিয়ে দেন। এ কারণে তিনি ‘আমর বিন উমাইয়া যামরী (রাঃ)-এর সঙ্গে দুটি নৌকা করে তাদের প্রেরণের ব্যবস্থা করে দিলেন। একটি নৌকায় আরোহীদের মধ্যে ছিলেন জা’ফর, আবূ মুসা আশআরী এবং অন্যান্য সাহাবীগণ (রাঃ)। তাঁরা সরাসরি খায়বারে পৌঁছে খিদমতে নাবাবীতে উপস্থিত হলেন। দ্বিতীয় নৌকার আরোহীদের মধ্যে ছিল বেশির ভাগই বিভিন্ন পরিবারের লোকজন। তারা সোজাসুজি মদীনায় গিয়ে পৌঁছল।[5]
এ নাজ্জাশী সম্রাট তাবুক যুদ্ধের পর ৯ম হিজরীর রজব মাসে মৃত্যুমুখে পতিত হন। তাঁর মৃত্যুর দিনই নাবী কারীম (ﷺ) সাহাবীগণ (রাঃ)-কে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করেন এবং তাঁর গায়েবানা জানাযা আদায় করেন। তাঁর মৃত্যুর পর অন্য একজন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়ে সিংহাসনে সমাসীন হন। নাবী কারীম (ﷺ) তাঁর নিকটেও একটি পত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন কিনা সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।[6]
[2] ডক্টর হামীদুল্লাহ সাহেবের গ্রন্থ ‘হুযুর আকরাম (সাঃ) কী সিয়াসী জিন্দেগী পৃ: ১০৮, ১১৪ এবং পৃ: ১২১-১২৩ ।
[3] ঈসা (আঃ)-এর সম্পর্কে এ বাক্য ড: হামিদুল্লাহ সাহেবের এ মতামতের সাহায্য করছে যে, তার উল্লেখকৃত পত্রে আসহামার নাম ছিল। আল্লাহই ভাল জানেন।
[4] যা’দুল মাআদ ৩য় খন্ড ৬২ পৃঃ।
[5] ইবনু হিশাম ২য় খন্ড ৩৫৯ পৃ: ও অন্যান্য।
[6] এ কথার অংশ বিশেষ সহীহুল মুসলিমের র্বণনা হতে গ্রহণ করা যেতে পারে যা আনাস হতে বর্ণিত হয়েছে। ২য় খন্ড ৯৯ পুৃঃ।