১. মুসালসাল হাদিস রাবির অধিক দ্বাবত ও স্মৃতি শক্তির প্রমাণ বহন করে, কারণ শায়খের অবস্থা, বর্ণনা পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট ঘটনার সংবাদ দেওয়া প্রমাণ করে রাবি শায়খকে যথাযথ অনুসরণ করেছেন।

২. কতক মুসালসাল প্রমাণ করে সনদে ইনকিতা‘ ও তাদলিস নেই, যা উসুলে হাদিসের প্রধান উদ্দেশ্য, যেমন "حدثني وأخبرني"দ্বারা মুসালসাল সনদ ইনকিতা‘ ও তাদলিসের সম্ভাবনামুক্ত, যদি অন্যান্য দোষ তাতে না থাকে।

৩. হাফেয ইব্‌ন হাজার রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন: “হাফেযে হাদিস ও হাদিসের ইমামদের দ্বারা বর্ণিত মুসালসাল অপর হাদিস অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী”।[1]

৪. মুসালসাল হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবস্থা ও কথার অনুসরণ থাকে, যা অন্যান্য হাদিসে থাকে না।

জ্ঞাতব্য: মুসালসাল হলে হাদিস সহি হওয়া জরুরি নয়। মুসালসাল সহি, হাসান ও দুর্বল সকল প্রকার হতে পারে, বরং আহলে ইলম বলেছেন অধিকাংশ মুসালসাল দুর্বল। হাফেয যাহাবি রাহিমাহুল্লাহ্ বলেছেন: “প্রায় সকল মুসালসাল বানোয়াট, রাবিদের মিথ্যাচারের কারণে অধিকাংশ মুসালসাল বাতিল। তবে সূরা সাফ পাঠ করার মুসালসাল, দামেস্কি রাবিদের মুসালসাল, মিসরি রাবিদের মুসালসাল ও মুহাম্মদ নামক রাবিদের মুসালসাল অধিক শক্তিশালী”।[2]

ইব্‌নুস সালাহ রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন: “দুর্বল অর্থ মুসালসাল হাদিসের মতন দুর্বল নয়, বরং মুসালসাল পদ্ধতি দুর্বল। মতন সহি ও দুর্বল উভয় হতে পারে”।[3]

মুসালসাল হাদিসে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল রাবির পরম্পরা জরুরি নয়, কোনো এক স্তরে একাধিক রাবির পরম্পরাকে মুসালসাল বলা হয়, তবে মুসালসাল হাদিসে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরম্পরা থাকা স্বাভাবিক। ইতোপূর্বে ইব্‌ন তাকিকুল ঈদ রাহিমাহুল্লাহর সংজ্ঞা থেকে জেনেছি, পরম্পরা কখনো হয় সকল স্তরে, কখনো হয় কতক স্তরে।

[1] আন-নুযহাহ: (পৃ.৭৬-৭৭)

[2] আল-মুকেজাহ: (পৃ.৪৪), আল-জাওয়াহির:

[3] মুকাদ্দামাহ ইব্‌ন সালাহ: (পৃ.২৭৭)