প্রশ্নঃ বর্তমান যুগে অনেক ইসলামী সংগঠন রয়েছে। এসব সংগঠনের ক্ষেত্রে মুসলিম যুবকদের ভুমিকা কি হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

উত্তরঃ ইসলামের প্রথম বালা-মুছীবতই ছিল মুসলিমদের মধ্যে বিভক্তি ও দলাদলি সৃষ্টির। কেননা সকল মুসলিম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরবর্তী দুই খলীফার যুগে এক জামা‘আতেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কিন্তু উছমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর আমলে কিছু সংখ্যক লোক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও অন্যায় দূরীকরণের খোঁড়া অজুহাত দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মাঠে নামে। আর এটিই ছিল ইসলামের প্রথম গোলযোগ, যার ফলে মুসলিমদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয় এবং ফিৎনা সৃষ্টিকারী দা‘ঈদের পথ উন্মুক্ত হয়।

সকল মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধভাবে হাতে হাত মিলিয়ে এক দল হয়ে থাকতে হবে। কোনো মুসলিমের জন্য কোনো দল, জামা‘আত বা সংগঠনে যোগ দেওয়া শোভনীয় নয়। এটিই হচ্ছে আল্লাহ নির্দেশিত এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল সঠিক পথ। এ সোজা পথ ছেড়ে এখানে সেখানে যোগ দেওয়ার অর্থই হলো নিজেকে এমন পথে পরিচালিত করা, যার শেষ গন্তব্য ধ্বংস বৈ কিছুই নয়। সেজন্য যুব সমাজের প্রতি আমার নছীহত হলো, তারা শর‘ঈ জ্ঞান অর্জন করবে এবং কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে যোগ্য ও অভিজ্ঞ উলামায়ে কেরামকে জিজ্ঞেস করবে।([1])

([1]) ‘ফাতাওয়াল উলামা ফিল জামা‘আত’ ক্যাসেট থেকে সংগৃহীত, মিনহাজুস-সুন্নাহ রেকর্ডিং সেন্টার, রিয়াদ।
----------------
শায়খ ছালেহ আল-লুহায়দান একজন খ্যাতনামা আলেম। ১৩৫০ হিজরীতে কাছীমের বুকায়রিয়াহ শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৩৭৯ হিজরীতে রিয়াদে শারী‘আহ বিভাগে অনার্স শেষ করেন। এক সময় সঊদী আরবের সাবেক প্রধান মুফতী মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীমের সেক্রেটারী হিসাবে কাজ করতেন। ১৩৮৩ হিজরীতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডেপুটি হিসাবে নিয়োগ পান। পররর্তীতে ১৩৮৪ হিজরীতে প্রধান বিচারপতি নির্বাচিত হন। এমনিভাবে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদগুলি অলংকৃত করতে থাকেন। ১৩৯১ হিজরীতে সঊদী আরবের খ্যাতনামা আলেমগণের নিয়ে গঠিত সংস্থা ‘হায়আতু কিবারিল উলামা’ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই তিনি এর সদস্য। রেডিও, টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সহ দা‘ওয়াতী কাজে তাঁর ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে। তিনি মসজিদে হারামে পাঠদান করতেন।
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে