প্রশ্ন: কুরআন ও হাদীছের কোথাও কি দল সৃষ্টির প্রমাণ মিলে?

উত্তর: কুরআন ও হাদীছে দল তৈরীর প্রমাণ মিলা তো দূরের কথা; বরং এতদুভয়ে দলাদলির কঠোর নিন্দা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمۡ وَكَانُواْ شِيَعٗا لَّسۡتَ مِنۡهُمۡ فِي شَيۡءٍۚ إِنَّمَآ أَمۡرُهُمۡ إِلَى ٱللَّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفۡعَلُونَ ١٥٩ ﴾ [الانعام: ١٥٩]

‘নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খণ্ড-বিখণ্ড করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের বিষয় আল্লাহ তা‘আলার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি তাদেরকে তাদের আমলের হিসাব দিয়ে দিবেন’ (আল-আন‘আম ১৫৯)। তিনি অন্যত্র বলেন,

﴿كُلُّ حِزۡبِۢ بِمَا لَدَيۡهِمۡ فَرِحُونَ ٥٣ ﴾ [المؤمنون: ٥٣]

‘প্রত্যেক দল নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে আনন্দিত’ (আল-মুমিনূন ৫৩)। নিঃসন্দেহে এসব দলাদলি আল্লাহ্‌র নির্দেশের পরিপন্থী। তিনি এরশাদ করেন,

﴿ إِنَّ هَٰذِهِۦٓ أُمَّتُكُمۡ أُمَّةٗ وَٰحِدَةٗ وَأَنَا۠ رَبُّكُمۡ فَٱعۡبُدُونِ ٩٢ ﴾ [الانبياء: ٩٢]

‘তারা সকলেই তোমাদের ধর্মের; এবং আমিই তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, আমারই ইবাদত কর’ (আল-আম্বিয়া ৯২)।

এসব দলাদলির ফলাফলও কল্যাণকর নয়। কেননা প্রত্যেকটি দল অপর পক্ষকে নানাভাবে গালাগালি করে থাকে।