উত্তর: সফরের ইমারতের দলীল পাওয়া যায়। কিন্তু মুক্বীম অবস্থায় নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক মানুষের আমীর নির্বাচনের প্রমাণে কোনো দলীল পাওয়া যায় না; বরং এই ইমারত মুসলিমদের দলাদলি ও বিভক্তি অবধারিত করে দেয়। মুসলিমদের উচিৎ, সবাই এক হয়ে যাওয়া। প্রত্যেক দলের ভিন্ন ভিন্ন আমীর নিম্নোক্ত আয়াতটির পরিপন্থী:
﴿ وَٱعۡتَصِمُواْ بِحَبۡلِ ٱللَّهِ جَمِيعٗا وَلَا تَفَرَّقُواْۚ ﴾ [ال عمران: ١٠٣]
‘আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’ (আলে ইমরান ১০৩)।([1])
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার আমীরের পক্ষ থেকে অপছন্দনীয় কিছু পাবে, সে ধৈর্য্য ধারণ করবে। কেননা যে ব্যক্তি জামা‘আত থেকে সামান্য পরিমাণ বিচ্ছিন্ন হয়ে মৃত্যু বরণ করবে, তার মৃত্যু হবে জাহেলী মৃত্যু’। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, হাদীছে রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে বলা হয়েছে। নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে মিলেঝুলে থাকলে গোটা জাতি একক জাতিতে পরিণত হতে পারবে। পক্ষান্তরে জাতি যদি রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে বিরোধ করে প্রত্যেকটি দল পৃথক পৃথক অনুসরণীয় নেতা বানিয়ে নেয়, তাহলে জাতি বিভক্ত হয়ে যাবে। সুতরাং যারা একজনকে আমীর বানিয়ে তার হাতে বায়‘আত করে তার অনুসরণ করে চলে, তাদের একাজ মারাত্মক ভুল প্রমাণিত হয়। শুধু তাই নয়; বরং তাদের একাজ এক দিক বিবেচনায় যেমন বিদ‘আত, তেমনি অন্যদিক বিবেচনায় তা সরকারের বিরোধিতার শামিল।
তবে সফর অবস্থায় আমীর নির্বাচনের বিষয়টি ভিন্ন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যখন তিনজন সফরে বের হবে, তখন তারা তাদের একজনকে আমীর বানাবে’। হাদীছটিতে ইমারত বলতে বিশেষ ইমারতের কথা বলা হয়েছে।...
আমি আবারও বলছি, মুক্বীম অবস্থায় আমীর হিসাবে কারো বায়‘আত গ্রহণ করে মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানের মত তার অনুসরণ করা বিদ‘আত।([2])
([2]) শারহু ছহীহিল বুখারী, পৃ: ৪৮৮-৪৮৯ (আল-মাকতাবা আল-ইসলামিইয়া, প্রথম প্রিন্ট)।