12- «بِسْمِ اللَّهِ».
(বিস্মিল্লাহ্)
১২- ‘আল্লাহ্র নামে’[1]।
13-(1) «أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ..».
(আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ)
১৩-(১) “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল”[1]।
14-(2) «اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ».
(আল্লা-হুম্মাজ‘আলনী মিনাত্ তাওয়াবীনা ওয়াজ‘আলনী মিনাল মুতাতাহ্হিরীন)
১৪-(২) “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করুন।”[2]
15-(3) «سُبْحانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتوبُ إِلَيْكَ».
(সুবহানাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়াআতূবু ইলাইকা)।
১৫-(৩) “হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার নিকট তওবা করছি”[3]
[2] তিরিমিযী-১/৭৮, নং ৫৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/১৮।
[3] নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, পৃ. ১৭৩। আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, ১/১৩৫, ৩/৯৪।
19- «اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُوراً، وَفِي لِسَانِي نُوراً، وَفِي سَمْعِي نُوراً، وَفِي بَصَرِي نُوراً، وَمِنْ فَوْقِي نُوراً، وَمِنْ تَحْتِي نُوراً، وَعَنْ يَمِينِي نُوراً، وَعَنْ شِمَالِي نُوراً، وَمِنْ أَمَامِي نُوراً، وَمِنْ خَلْفِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي نَفْسِي نُوراً، وَأَعْظِمْ لِي نُوراً، وَعَظِّم لِي نُوراً، وَاجْعَلْ لِي نُوراً، وَاجْعَلْنِي نُوراً، اللَّهُمَّ أَعْطِنِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي عَصَبِي نُوراً، وَفِي لَحْمِي نُوراً، وَفِي دَمِي نُوراً، وَفِي شَعْرِي نُوراً، وَفِي بَشَرِي نُوراً».
«[اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي نُوراً فِي قَبْرِي... وَنُوراً فِي عِظَامِي]» [«وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً»] [«وَهَبْ لِي نُوراً عَلَى نُورٍ»].
(আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসানী নূরান, ওয়া ফী সাম্‘য়ী নূরান, ওয়া ফী বাসারী নূরান, ওয়া মিন ফাওকী নূরান, ওয়া মিন তাহ্তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমালী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী নাফ্সী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরান, ওয়া ‘আয্যিম লী নূরান, ওয়াজ‘আল্ লী নূরান, ওয়াজ‘আলনী নূরান; আল্লা-হুম্মা আ‘তিনী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী ‘আসাবী নূরান, ওয়া ফী লাহ্মী নূরান, ওয়া ফী দামী নূরান, ওয়া ফী শা‘রী নূরান, ওয়া ফী বাশারী নূরান।
[আল্লা-হুম্মাজ‘আল লী নূরান ফী কাবরী, ওয়া নূরান ফী ‘ইযামী] [ওয়া যিদ্নী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান] [ওয়া হাবলী নূরান ‘আলা নুর]
১৯- “হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর (বা আলো) দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার উপরে নূর দান করুন, আমার নীচে নূর দান করুন, আমার ডানে নূর দান করুন, আমার বামে নূর দান করুন, আমার সামনে নূর দান করুন, আমার পেছনে নূর দান করুন, আমার আত্মায় নূর দান করুন, আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন, আমার জন্য নূর বাড়িয়ে দিন, আমার জন্য নূর নির্ধারণ করুন, আমাকে আলোকময় করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন, আমার পেশীতে নূর প্রদান করুন, আমার গোশ্তে নূর দান করুন, আমার রক্তে নূর দান করুন, আমার চুলে নূর দান করুন ও আমার চামড়ায় নূর দান করুন[1]।”
[“হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার কবরে নূর দিন, আমার হাড়সমূহেও নূর দিন”][2], [“আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন”][3], [“আমাকে নূরের উপর নূর দান করুন”][4]।
[2] তিরমিযী ৫/৪৮৩, নং ৩৪১৯।
[3] ইমাম বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৬৯৫; পৃ. ২৫৮; আর আলবানী সেটার সনদকে সহীহ আদাবিল মুফরাদে সহীহ বলেছেন, নং ৫৩৬।
[4] হাফেয ইবন হাজার এটাকে তার ফতহুল বারীতে উল্লেখ করেছেন এবং ইবন আবী আসেমের ‘কিতাবুদ দো‘আ’ এর দিকে সম্পর্কিত করেছেন। দেখুন ফাতহুল বারী, ১১/১১৮। আরও বলেছেন, বিভিন্ন বর্ণনা থেকে মোট ২৫ (পঁচিশটি) বিষয় পাওয়া গেল।
২০- ডান পা দিয়ে ঢুকবে[1] এবং বলবে,
«أَعُوذُ بِاللَّهِ العَظِيمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ، وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ، مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ» [بِسْمِ اللَّهِ، وَالصَّلَاةُ] [وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ] «اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ».
(আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম, ওয়াসুলতা-নিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।
[বিসমিল্লা-হি ওয়াসসালাতু] [ওয়াসসালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লা-হি], আল্লা-হুম্মাফ্তাহ লী আবওয়া-বা রাহ্মাতিক)।
“আমি মহান আল্লাহ্র কাছে তাঁর সম্মানিত চেহারা ও প্রাচীন ক্ষমতার ওসীলায় বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”[2] [আল্লাহ্র নামে (প্রবেশ করছি), সালাত][3] [ও সালাম আল্লাহ্র রাসূলের উপর।][4] “হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন।”[5]
[2] আবূ দাউদ, নং ৪৬৬; আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪৫৯১।
[3] ইবনুসসুন্নি কর্তৃক উদ্ধৃত, নং ৮। আর শাইখ আলবানী তার আস-সামারুল মুস্তাতাব গ্রন্থে একে হাসান বলেছেন, পৃ. ৬০৭।
[4] আবূ দাউদ ১/১২৬; নং ৪৬৫; আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ১/৫২৮।
[5] মুসলিম ১/৪৯৪, নং ৭১৩; আর সুনান ইবন মাজায় ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীসে এসেছে,
«اللهم اغفر لي ذنوبي وافتح لي أبواب رحمتك»
“হে আল্লাহ, আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দ্বারসমূহ অবারিত করে দিন”। আর শাইখ আলবানী অন্যান্য শাহেদ বা সম অর্থের বর্ণনার কারণে একে সহীহ বলেছেন। দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/১২৮-১২৯।
২১- বাম পা দিয়ে শুরু করবে[1] এবং বলবে,
«بِسْمِ اللَّهِ وَالصّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك، اللَّهُمَّ اعْصِمْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ».
(বিস্মিল্লা-হি ওয়াস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকা, আল্লা-হুম্মা আ‘সিমনি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম।)
“আল্লাহ্র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহ্র রাসুলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাসমূহ মাফ করে দিন এবং আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাগুলো খুলে দিন। হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন”[2]।
[2] মসজিদে প্রবেশের দো‘আয় পূর্বে বর্ণিত হাদীসের রেওয়ায়েতসমূহের তাখরীজ দেখুন, (২০ নং) আর “হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন” এ বাড়তি অংশের তাখরীজ দেখুন, ইবন মাজাহ্ ১/১২৯।
২২-(১) মুয়াযযিন যা বলে শ্রোতাও তা বলবে, তবে ‘হাইয়্যা ‘আলাস্সালাহ’ এবং ‘হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ’ এর সময় বলবে,
«لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ»
(লা-হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ)
“আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই[1]।”
২৩-(২) বলবে,
«وَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبَّاً، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً، وَبِالْإِسْلاَمِ دِينَاً»
(ওয়া আনা আশ্হাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহু, রাদীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসূলান, ওয়া বিলইসলা-মি দ্বীনান)।
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসূল। আমি আল্লাহকে রব্ব, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে রাসূল এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট।”[2]
মুয়াযযিন তাশাহহুদ (তথা আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার...) উচ্চারণ করার পরই শ্রোতারা এ যিক্রটি বলবে।[3]
২৪-(৩) মুয়াযযিনের কথার জবাব দেওয়া শেষ করার পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পড়বে।[4]
২৫-(৪) তারপর বলবে,
«اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحمُوداً الَّذِي وَعَدْتَهُ، [إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ]».
(আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল ক্বা-’ইমাতি আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাতা ওয়াব্‘আছহু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আদতাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ)।
“হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।”[5]
২৬-(৫) “আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে নিজের জন্য দো‘আ করবে। কেননা ঐ সময়ের দো‘আ প্রত্যাখ্যান করা হয় না।”[6]
[2] মুসলিম ১/২৯০, নং ৩৮৬।
[3] ইবন খুযাইমা, ১/২২০।
[4] মুসলিম ১/২৮৮, নং ৩৮৪।
[5] বুখারী ১/২৫২, নং ৬১৪; আর দুই ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ উদ্ধৃত করেছেন, বায়হাকী ১/৪১০। আর আল্লামা আবদুল আযীয ইবন বায রাহেমাহুল্লাহ তার ‘তুহফাতুল আখইয়ার’ গ্রন্থে এটার সনদকে হাসান বলেছেন, পৃ. ৩৮।
[6] তিরমিযী, নং ৩৫৯৪; আবূ দাউদ, নং ৫২৫; আহমাদ, নং ১২২০০; আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, ১/২৬২।
27-(1) «اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْني مِنْ خَطَايَايَ، بِالثَّلْجِ وَالْماءِ وَالْبَرَدِ».
(আল্লা-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আদতা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লা-হুম্মা নাক্বক্বিনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা ইয়ুনাক্কাস্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ দানাসি। আল্লা-হুম্মাগসিলনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিস্সালজি ওয়াল মা-’ই ওয়াল বারাদ)।
২৭-(১) “হে আল্লাহ! আপনি আমার এবং আমার গুনাহসমূহের মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করুন যেরূপ দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার গুনাহসমূহ থেকে এমন পরিষ্কার করে দিন, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার পাপসমূহ থেকে বরফ, পানি ও মেঘের শিলাখণ্ড দ্বারা ধৌত করে দিন।”[1]
28-(2)«سُبْحانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، وَتَبارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ».
(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা ওয়া তা‘আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা- ইলা-হা গাইরুকা)।
২৮-(২) “হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি অতি উচ্চ। আর আপনি ব্যতীত অন্য কোনো হক্ব ইলাহ্ নেই।”[2]
29-(3) «وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفَاً وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلاَتِي، وَنُسُكِي، وَمَحْيَايَ، وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ. اللَّهُمَّ أَنْتَ المَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ، ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبي جَمِيعَاً إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنوبَ إِلاَّ أَنْتَ. وَاهْدِنِي لِأَحْسَنِ الأَخْلاقِ لاَ يَهْدِي لِأَحْسَنِها إِلاَّ أَنْتَ، وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا، لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، وَالخَيْرُ كُلُّهُ بِيَـــــــدَيْكَ، وَالشَّـــــرُّ لَيْسَ إِلَيْــــــكَ،
أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ، تَبارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتوبُ إِلَيْكَ».
(ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্ সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালা-তী, ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়া-ইয়া ওয়া মামা-তী লিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। লা শারীকা লাহু ওয়াবিযা-লিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন।)
আল্লা-হুম্মা আনতাল মালিকু লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আনতা রব্বী ওয়া আনা ‘আবদুকা। যালামতু নাফসী ওয়া‘তারাফতু বিযাম্বী। ফাগফির লী যুনূবী জামী‘আন ইন্নাহু লা- ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। ওয়াহদিনী লিআহসানিল আখলা-ক্বি, লা ইয়াহ্দী লিআহ্সানিহা ইল্লা আনতা। ওয়াসরিফ ‘আন্নী সায়্যিআহা লা ইয়াসরিফু সায়্যিআহা ইল্লা আনতা। লাববাইকা ওয়া সা‘দাইকা ওয়াল-খাইরু কুল্লুহু বিয়াদাইকা, ওয়াশশাররু লাইসা ইলাইকা। আনা বিকা ওয়া ইলাইকা, তাবা-রাক্তা ওয়া তা‘আ-লাইতা। আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা)।
২৯-(৩) “যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আমি একনিষ্টভাবে আমার মুখমণ্ডল তাঁর দিকেই ফিরালাম, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী বা যাবতীয় ইবাদাত, আমার জীবন ও আমার মরণ সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্র জন্য। তাঁর কোনো শরীক নেই। আর আমি এরই আদেশ প্রাপ্ত হয়েছি এবং আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।
“হে আল্লাহ! আপনিই অধিপতি, আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আপনি আমার রব্ব, আমি আপনার বান্দা। আমি আমার নিজের প্রতি অন্যায় করেছি এবং আমি আমার পাপসমূহ স্বীকার করছি। সুতরাং আপনি আমার সমুদয় গুনাহ মাফ করে দিন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ মাফ করতে পারে না। আর আপনি আমাকে সর্বোত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত করুন, আপনি ছাড়া আর কেউ উত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত করতে পারে না। আর আপনি আমার থেকে আমার খারাপ চরিত্রগুলো দূরীভূত করুন, আপনি ব্যতীত আর কেউ সে খারাপ চরিত্রগুলো অপসারিত করতে পারে না। আমি আপনার হুকুম মানার জন্য সদা-সর্বদা হাজির, সকল কল্যাণই আপনার দু’ হাতে নিহিত। অকল্যাণ আপনার দিকে নয় (অর্থাৎ মন্দকে আপনার দিকে সম্পৃক্ত করা উচিৎ নয়, অথবা মন্দ দ্বারা আপনার নিকটবর্তী হওয়া যায় না, বা মন্দ আপনার দিকে উঠে না)। আমি আপনার দ্বারাই (প্রতিষ্ঠিত আছি, সহযোগিতা পেয়ে থাকি) এবং আপনার দিকেই (আমার সকল প্রবণতা, বা আমার প্রত্যাবর্তন)। আপনি বরকতময় এবং আপনি সুঊচ্চ। আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাই এবং আপনার কাছে তাওবাহ্ করছি।”[3]
30-(4) «اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرَائِيلَ، وَمِيْكَائِيلَ، وَإِسْرَافِيلَ، فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، عَالِمَ الغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ. اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقيمٍ».
(আল্লা-হুম্মা রববা জিব্রাঈলা ওয়া মীকাঈলা ওয়া ইস্রা-ফীলা ফা-তিরাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি। আনতা তাহকুমু বাইনা ইবা-দিকা ফীমা কা-নূ ফীহি ইয়াখতালিফূন। ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হাককি বিইযনিকা ইন্নাকা তাহ্দী তাশা-উ ইলা- সিরা-তিম মুস্তাকীম)।
৩০-(৪) “হে আল্লাহ! জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের রব্ব, আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, গায়েব ও প্রকাশ্য সব কিছুর জ্ঞানী, আপনার বান্দাগণ যেসব বিষয়ে মতভেদে লিপ্ত আপনিই তার মীমাংসা করে দিবেন। যেসব বিষয়ে মতভেদ হয়েছে তন্মধ্যে আপনি আপনার অনুমতিক্রমে আমাকে যা সত্য সেদিকে পরিচালিত করুন। নিশ্চয় আপনি যাকে ইচ্ছা সরল পথ প্রদর্শন করেন।”[4]
31-(5) «اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرَاً، اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيراً، اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيراً، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثيراً، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثيراً، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثيراً، وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً» (তিনবার) «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ: مِنْ نَفْخِهِ، وَنَفْثِهِ، وَهَمْزِهِ».
(আল্লা-হু আকবার কাবীরান, আল্লা-হু আকবার কাবীরান, আল্লা-হু আকবার কাবীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরান। ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসী-রান ওয়াসুবহা-নাল্লাহি বুকরাতাঁও ওয়া আসীলা [তিনবার]। আউযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়তানি, মিন নাফখিহী ওয়ানাফসিহী ওয়াহামযিহী)
৩১-(৫) “আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়। আর আল্লাহ্র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা, আল্লাহ্র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা, আল্লাহ্র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা। সকালে ও বিকালে আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি” (তিনবার) “আমি শয়তান থেকে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাই তার ফুঁ তথা দম্ভ-অহংকার থেকে, তার থুতু তথা কবিতা থেকে ও তার চাপ তথা পাগলামি থেকে”[5]।
32-(6) «اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ، أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، [وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ رَبُّ السَّمَواتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ] [وَلَكَ الْحَمْدُ لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ] [وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ مَلِكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ] [وَلَكَ الْحَمْدُ] [أَنْتَ الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَقَوْلُكَ الْحَقُّ، وَلِقاؤُكَ الْحَقُّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ، وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمحَمَّدٌ حَقٌّ، وَالسّاعَةُ حَقٌّ] [اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمتُ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حاكَمْتُ. فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ، وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ، وَمَا أَعْلَنْتُ] [أَنْتَ المُقَدِّمُ، وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ] [أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ]».
(আল্লা-হুম্মা লাকাল হামদু আনতা নুরুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না ওয়া লাকাল হাম্দু। আনতা ক্বায়্যিমুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না, [ওয়া লাকাল হামদু আনতা রববুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না], [ওয়া লাকাল হাম্দু, লাকা মূলকুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না], [ওয়ালাকাল হাম্দু, আনতা মালিকুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি], [ওয়া লাকাল হামদু] [আনতাল হাক্কু, ওয়া ওয়া‘দুকাল হাক্কু, ওয়া ক্বাওলুকাল হাক্কু, ওয়া লিক্বা-উকাল হাক্কু, ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন, ওয়ান না-রু হাক্কুন, ওয়ান নাবিয়্যূনা হাক্কুন, ওয়া মুহাম্মাদুন হাক্কুন, ওয়াস্সা‘আতু হাক্কুন]। [আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু, ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়াবিকা আ--মানতু, ওয়া ইলাইকা আনাবতু, ওয়া বিকা খা-সাম্তু, ওয়া ইলাইকা হা-কামতু, ফাগফির লী মা কাদ্দামতু, ওয়ামা আখখারতু, ওয়ামা আসরারতু, ওয়ামা আ‘লানতু], [আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আন্তাল্ মুআখখিরু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা] [আনতা ইলা-হী, লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা])।
৩২-(৬) “হে আল্লাহ! আপনার জন্যই সকল হামদ-প্রশংসা[6]; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা কিছু আছে আপনিই এগুলোর নূর (আলো)। আর আপনার জন্যই সব প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা আছে আপনিই এসবের রক্ষণাবেক্ষণকারী-পরিচালক। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা কিছু আছে আপনিই এসবের রব্ব। আর আপনার জন্যই সব প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’টির মাঝে যা আছে তার সার্বভৌমত্ব আপনারই। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আসমানসমূহ ও যমীনের রাজা আপনিই। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আপনিই হক্ব, আপনার ওয়াদা হক্ব (বাস্তব ও সঠিক), আপনার বাণী হক্ব, আপনার সাক্ষাৎ লাভ হক্ব, জান্নাত হক্ব, জাহান্নাম হক্ব, নবীগণ হক্ব, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হক্ব এবং কিয়ামত হক্ব। হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করি, আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উপরই ঈমান আনি, আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি, আপনার সাহায্যেই বা আপনার জন্যই শত্রুর সাথে বিবাদে লিপ্ত হই, আর আপনার কাছেই বিচার পেশ করি; অতএব ক্ষমা করে দিন আমার গুনাহসমূহ— যা পূর্বে করেছি, যা পরে করেছি, যা আমি গোপন করেছি আর যা প্রকাশ্যে করেছি। আপনিই (কাউকে) করেন অগ্রগামী, আর আপনিই (কাউকে) করেন পশ্চাদগামী, আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আপনিই আমার ইলাহ। আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”[7]
[2] মুসলিম, নং ৩৯৯; আর সুনান গ্রন্থকার চারজন। আবু দাউদ, নং ৭৭৫; তিরমিযী, নং ২৪৩; ইবন মাজাহ্, নং ৮০৬; নাসাঈ, নং ৮৯৯। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৭৭; সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/১৩৫।
[3] মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭১।
[4] মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭০।
[5] আবূ দাউদ ১/২০৩, নং ৭৬৪; ইবন মাজাহ্ ১/২৬৫, ৮০৭; আহমাদ, আহমাদ ৪/৮৫, নং ১৬৭৩৯। শাইখ শু‘আইব আল-আরনাউত তার মুসনাদের তাহকীকে এ হাদীসের সনদকে হাসান লি-গাইরিহি বলেছেন। আর আব্দুল কাদের আরনাউত ইবন তাইমিয়্যার ‘আল-কালেমুত তাইয়্যেব’ গ্রন্থের নং ৭৮, এর তাহকীক বলেন, এটি তার শাওয়াহেদ বা সমার্থবোধক হাদীসের দ্বারা সহীহ লি-গাইরিহী প্রমাণিত হয়। আর আলবানী তার সহীহুল কালেমিত তাইয়্যেব এর ৬২ নং এ হাদিসটি উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া ইমাম মুসলিম ইবন উমর থেকে অনুরূপ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন, তবে সেখানে একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। ১/৪২০, নং ৬০১।
[6] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আটি রাতে উঠে তাহাজ্জুদের সালাত পড়ার সময় বলতেন।
[7] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৩/৩, ১১/১১৬, ১৩/৩৭১, ৪২৩, ৪৬৫, নং ১১২০, ৬৩১৭, ৭৩৮৫, ৭৪৪২, ৭৪৯৯; ও মুসলিম সংক্ষিপ্তাকারে ১/৫৩২, নং ৭৬৯।
33-(1) «سُبْحانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ». .
(সুবহা-না রব্বিয়াল ‘আযীম)।
৩৩-(১) “আমার মহান রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি” (তিনবার)[1]
34-(2) «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي».
(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকা, আল্লা-হুম্মাগফির লী)।
৩৪-(২) “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি আপনার প্রশংসাসহ। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।”[2]
35-(3) «سُبُّوُحٌ، قُدُّوسٌ، رَبُّ المَلاَئِكَةِ وَالرُّوحِ».
(“সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রব্বুল মালা-’ইকাতি ওয়াররূহ)।
৩৫-(৩) “(তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রূহ এর রব্ব।”[3]
36-(4) «اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي، وَبَصَرِي، وَمُخِّي، وَعَــــظْمِي، وَعَصَبِي، [وَمَا استَقَلَّتْ بِهِ قَدَمِي]».
(আল্লা-হুম্মা লাকা রাকা‘তু, ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আস্লামতু। খাশা‘আ লাকা সাম‘ঈ ওয়া বাসারী ওয়া মুখ্খী ওয়া ‘আযমী ওয়া ‘আসাবী [ওয়ামাস্তাক্বাল্লাত বিহি কাদামী])।
৩৬-(৪) “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যেই রুকু করেছি, আপনার উপরই ঈমান এনেছি এবং আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছি। আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিষ্ক, আমার হাড়, আমার পেশী, সবই আপনার জন্য বিনয়াবনত। [আর যা আমার পা বহন করে দাঁড়িয়ে আছে (আমার সমগ্র সত্তা) তাও (আপনার জন্য বিনয়াবনত)]”[4]।
37-(5) «سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ».
(সুবহা-নাযিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়া’ই ওয়াল ‘আযামাতি)।
৩৭-(৫) “পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী”[5]।
[2] বুখারী ১/৯৯, নং ৭৯৪; মুসলিম ১/৩৫০, নং ৪৮৪।
[3] মুসলিম ১/৩৫৩, নং ৪৭৪; আবূ দাউদ ১/২৩০, নং ৮৭২।
[4] মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭১; তাছাড়া চার সুনান গ্রন্থকারগণের মধ্যে ইবন মাজাহ ব্যতীত সবাই তা উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৭৬০, ৭৬১; তিরমিযী, নং ৩৪২১; নাসাঈ, নং ১০৪৯; তবে দুই ব্রাকেটের অংশ ইবন খুযাইমার শব্দ, নং ৬০৭; ইবন হিব্বান, নং ১৯০১।
[5] আবূ দাউদ ১/২৩০, নং ৮৭৩; নাসাঈ, নং ১১৩১; আহমাদ, নং ১৩৯৮০। আর তার সনদ হাসান।
38-(1) «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ».
(সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ)।
৩৮-(১) “যে আল্লাহর হামদ-প্রশংসা করে, আল্লাহ তার প্রশংসা শুনুন (কবুল করুন)।”[1]
39-(2) «رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِ».
(রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছীরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি)
৩৯-(২) “হে আমাদের রব্ব! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।”[2]
40-(3) «مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ، وَمَا بَيْنَهُمَا، وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيءٍ بَعْدُ. أَهلَ الثَّناءِ وَالْمَجْدِ، أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ، وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ. اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ».
(মিল’আস সামা-ওয়া-তি ওয়া মিল’আল আরদি ওয়ামা বাইনাহুমা, ও মিল’আ মা শি’তা মিন শাইয়িন বা‘দু, আহলাস সানা-য়ি ওয়াল মাজদি, আহাক্কু মা ক্বালাল ‘আবদু, ওয়া কুল্লুনা লাকা ‘আবদুন, আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘ত্বাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘য়ু যাল-জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।
৪০-(৩) “(আপনার প্রশংসা করছি) আসমানসমূহ পূর্ণ করে, যমীন পূর্ণ করে ও যা এ দু’টির মাঝে রয়েছে (তাও পূর্ণ করে), আর এর পরে যা পূর্ণ করা আপনার ইচ্ছা তা পূর্ণ করে। হে প্রশংসা ও সম্মান-মর্যাদার যোগ্য সত্ত্বা! বান্দা সবচেয়ে যে সঠিক কথাটি বলেছে তা হচ্ছে—আর আমরা সবাই আপনার বান্দা— হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো কাজে লাগবে না।”[3]
[2] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ২/২৮৪, নং ৭৯৬।
[3] মুসলিম, ১/৩৪৬; নং ৪৭৭।
41-(1) «سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى».
(সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা)
৪১-(১) “আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে।” (তিনবার)[1]
42-(2) «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي».
(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগফির লী)।
৪২-(২) “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।”[2]
43-(3) «سُبوحٌ، قُدُّوسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ».
(সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররূহ)।
৪৩-(৩) “(তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রূহ এর রব্ব।”[3]
44-(4) «اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسنُ الْخَالِقينَ».
(আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়া সাওয়্যারাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু, তাবারাকাল্লাহু আহ্সানুল খালিক্বীন)।
৪৪-(৪) “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই সিজদা করেছি, আপনার উপরই ঈমান এনেছি, আপনার কাছেই নিজেকে সঁপে দিয়েছি। আমার মুখমণ্ডল সিজদায় অবনত সেই মহান সত্তার জন্য; যিনি একে সৃষ্টি করেছেন এবং আকৃতি দিয়েছেন, আর তার কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্ অত্যন্ত বরকতময়।”[4]
45-(5) «سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ».
(সুবহা-নাযিল জাবারূতি, ওয়াল মালাকুতি, ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল ‘আযামাতি)।
৪৫-(৫) “পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী।”[5]
46-(6) «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ: دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَعَلاَنِيَّتَهُ وَسِرَّهُ».
(আল্লা-হুম্মাগফির লী যাম্বী কুল্লাহু; দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউয়ালাহু ওয়া ‘আখিরাহু, ওয়া ‘আলানিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু)।
৪৬-(৬) “হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন— তার ক্ষুদ্র অংশ, তার বড় অংশ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য ও গোপন গুনাহ।”[6]
47-(7) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ».
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিরিদ্বা-কা মিন সাখাত্বিকা, ওয়া বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন ‘উক্বুবাতিকা, ওয়া আঊযু বিকা মিনকা, লা উহ্সী সানা-আন আলাইকা, আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা)।
৪৭-(৭) “হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে অসন্তুষ্টি থেকে, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার নিকটে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন”।[7]
[2] বুখারী, নং ৭৯৪; মুসলিম, নং ৪৮৪; পূর্বে ৩৪ নং তা গত হয়েছে।
[3] মুসলিম ১/৩৫৩, নং ৪৮৭; আবূ দাউদ, নং ৮৭২। পূর্বে ৩৫ নং এ গত হয়েছে।
[4] মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭১ ও অন্যান্যগণ।
[5] আবু দাঊদ ১/২৩০, নং ৮৭৩; নাসাঈ, নং ১১৩১; আহমাদ, নং ২৩৯৮০। আর শাইখ আলবানী একে সহীহ আবু দাউদে ১/১৬৬ সহীহ বলেছেন। যার তাখরীজ ৩৭ নং এ চলে গেছে।
[6] মুসলিম ১/২৩০, নং ৪৮৩।
[7] মুসলিম ১/৩৫২, নং ৪৮৬।