ইসলাম যেমন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক কঠিনভাবে নিষেধ করে, তেমনি বিবাহিত দম্পতিকে তাদের জীবন ও যৌবনের আনন্দ উপভোগ করতে উৎসাহ দেয়। পায়ুপথে মিলন এবং রক্তস্রাব অবস্থায় মিলন নিষিদ্ধ। এছাড়া দম্পতির মিলন ও আনন্দলাভের কোনো দিন, তারিখ, বার, তিথি, সময়, উপকরণ, আসন বা পদ্ধতি ইসলাম নিষিদ্ধ করে নি। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কোনোরূপ পর্দা নেই বা কোনো কিছু দর্শন, স্পর্শ, চুম্বন বা উপভোগে নিষেধাজ্ঞা নেই।
প্রচলিত অনেক জাল ও ভিত্তিহীন হাদীসে দাম্পত্য মিলন বিষয়ক বিভিন্ন মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। অমুক সময়ে, অমুক দিনে, অমুক বারে, অমুক রাতে, অমুক তিথিতে দাম্পত্য সম্পর্ক করবে না, তাতে অমুক প্রকারের ক্ষতি হবে, অথবা সন্তানের অমুক রোগ হবে.... ইত্যাদি। অথবা অমুক পদ্ধতিতে বা আসনে দাম্পত্য মিলন করবে না, তাহলে অমুক ক্ষতি হবে, বা সন্তানের অমুক খুত হবে... ইত্যাদি। অথবা দাম্পত্য মিলনের সময় কথা বলবে না, দৃষ্টিপাত করবে না...স্পর্শ করবে না...তাহলে অমুক রোগ হবে, বা অমুক ক্ষতি হবে... ইত্যাদি। অথবা অমুক সময়ে, বারে, তিথিতে দাম্পত্য মিলনে সন্তান সৌভাগ্যবান বা দুর্ভাগ্যবান হয়..। এগুলো সবই মিথ্যা, বানোয়াট ও জাল কথা।
সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, মদীনার ইহূদীগণের মধ্যে এরূপ কিছু কুসংস্কার প্রচলিত ছিল। তখন মহান আল্লাহ কুরআন কারীমে সূরা বাকারার ২২৩ নং আয়াত নাযিল করে সে সকল কুসংস্কার খন্ডন করেন।[1]