প্রচলিত একটি পুস্তক থেকে একটি ভিত্তিহীন কাহিনী উদ্ধৃত করছি: ‘‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিবার পূর্বে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) একজন বড় ধনাঢ্য লোক ছিলেন। যেদিন হযরত (ﷺ)-এর খেদমতে আসিয়া ইসলামে দিক্ষীত হইলেন সেইদিন হইতেই তাঁহার যাবতীয় ধন সম্পত্তি আল্লাহর রাস্তায় খরচ করিতে লাগিলেন। ... একদিন পরনের কাপড়ের অভাবে মসজিদে নামায পড়িতে যাইতে কিঞ্চিত দেরী হইয়াছিল। দেখিয়া হযরত (ﷺ) বলিলেন, হে আবু বকর (রা), আমি জীবিত থাকিতেই ইসলামের প্রতি আপনাদের এত অবহেলা হইতেছে, আমি অভাবে আরও কত কি হয় বলা যায় না। ...তিনি বলিলেন হুজুর আমার অবহেলার কিছুই নহে। বাস্তবিক আমার পরনে কাপড় ছিলনা, সেই হেতু আমি ছোট এক খানা কাপড়ের সহিত বালিশের কাপড় ছিঁড়িয়া খেজুর পাতা ও কাঁটা দ্বারা সেলাই করতঃ ধুইয়া ও শুকাইয়া পরিয়া আসিতে এত গৌণ হইয়াছে...। ইহার কিছুক্ষণ পরে জীব্রাইল সম্পুর্ণ খেজুর পাতার পোষাক পরিয়া হযরতের সম্মুখে হাজির হইলেন...। হযরত (ﷺ) তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ... আজকে খেজুর পাতার পোশাক দেখিতেছি কেন? তদুত্তরে জিব্রাইল (ﷺ) বলিলেন হযরত আবুবকর সিদ্দীক (রা) খেজুর পত্রের সেলাই করা কাপড়ে নামায পড়িতে আসিয়াছিলেন। তখন আল্লাহ তায়ালা সমস্ত ফেরেশতাকে ডাকিয়া বলিলেন, ‘দেখ হে ফেরেশ্তাগণ, আবুবকর আমার সন্তোষ লাভের জন্য কতইনা কষ্ট স্বীকার করিতেছেন। অতএব তোমরা যদি আজ আমার সন্তোষ চাও তবে এখনই আবুবকরের সম্মানার্থে সকলেই খেজুর পত্রের পোশাক পরিধান কর। নচেৎ আজই আমার দপ্তর থেকে সমস্ত ফেরেশ্তার নাম কাটিয়া দিব।’ এই কঠোর বাক্য শুনিয়া আমরা সকলেই তাঁহার সম্মানার্থে খেজুর পত্রের পোশাক পরিধান করিতে বাধ্য হইয়াছি।’’[1]