হাদীসের নামে জালিয়াতি অশুদ্ধ হাদীসের বিষয়ভিত্তিক মূলনীতি ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
  1. রাসূলুল্লাহ ()-এর যুদ্ধবিগ্রহের বা জীবনের বিভিন্ন ঘটনার বিস্তারিত ইতিহাস বিষয়ক অধিকাংশ হাদীসের কোনো গ্রহণযোগ্য সূত্র পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে অল্প কিছু সহীহ হাদীস রয়েছে। বাকি সবই গল্পকারদের বৃদ্ধি। ইতিহাসের ক্ষেত্রে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকের ইতিহাস প্রসিদ্ধ। তিনিও ইহূদী-খৃস্টানদের থেকে তথ্য নিতেন।
  2. তাফসীরের ক্ষেত্রে সহীহ সনদের তাফসীর ও শানে নুযূল খুবই কম। এ বিষয়ক অধিকাংশ ‘হাদীস’-ই নির্ভরযোগ্য সনদ বা সূত্র বিহীন। বিশেষত, মুহাম্মাদ ইবনু সাইব ‘কালবী’ (১৪৬হি) বর্ণিত সকল তাফসীরই ভিত্তিহীন। এছাড়া মুকাতিল ইবনু সুলাইমান (১৫০হি)-এর বর্ণিত তাফসীরও অনুরূপ। এরা জনশ্রুতি, ইহূদী-খৃস্টানদের ইসরাঈলীয় বর্ণনা ইত্যাদির সাথে অগণিত মিথ্যা মিশ্রিত করেছেন।
  3. নবীগণের কবর সম্পর্কে প্রচলিত সব কথাই ভিত্তিহীন। রাসূলুল্লাহ () ছাড়া অন্য কোনো নবীর কবর সম্পর্কে কিছু জানা যায় না।
  4. মক্কা শরীফে অনেক সাহাবীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কবরের স্থান সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। ‘মু‘য়াল্লা’ গোরস্থানে খাদীজাতুল কুবরা (রা)-এর ‘কবর’ বলে পরিচিত স্থানটিও কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত হয় নি। এক ব্যক্তি স্বপ্ন দেখে বলেন যে, এ স্থানটি খাদীজা (রা)-এর কবর। ক্রমান্বয়ে তা প্রসিদ্ধ হয়ে যায়।
  5. মক্কায় ঠিক কোন্ স্থানটিতে রাসূলুল্লাহ () জন্মগ্রহণ করেছিলেন তা নিশ্চিতরূপে জানা যায় না। এ বিষয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে।