হাদীসের নামে জালিয়াতি ৯. জাল হাদীস চিহ্নিতকরণে বাঙালী আলিমগণ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
৯. ১. ৮. তাসাউফ গ্রন্থসমূহে বিদ্যমান জাল হাদীস

আল্লামা রুহুল আমিন বলেন: ‘‘এইরূপ তাছাওয়াফের কেতাবে অনেক জাল হাদিছ আছে, পীরান পীর ছাহেব গুনইয়াতোত্তালেবিন কেতাবের ১৪৫-১৪৬ পৃষ্ঠায় নইম বেনে হাম্মদের ছনদে নিম্নোক্ত জাল হাদিছটি উল্লেখ করিয়াছেন: ‘হজরত বলিয়াছেন আমার উম্মাত ৭৩ ফেরকা হইবে, তম্মধ্যে আমার উম্মতের মধ্যে প্রধান বিভ্রাটকারী উহারা হইবে- যাহারা আপন আপন রায়ে কার্য্যসমুহে কেয়াছ করিবে এবং হালালকে হারাম করিবে ও হারামকে হালাল করিবে। মিজানোল-এতেদাল ৩।২৩৮পৃষ্ঠা: ... মোহাম্মদ বেনে আলি বলেন, আমি উক্ত হাদিছ সম্বন্ধে (এমাম) এহইয়া বেনে মইনের নিকট জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম ইহাতে তিনি বলিয়াছিলেন, উক্ত হাদিছের কোন মূল নাই (অর্থাৎ উহা বাতীল হাদিছ)। এইরূপ পীরান পীরের ‘ছের্রোল আছরার’ কেতাবের ২/৯ পৃষ্ঠায় আছে: ‘‘আমি খেদাকে দাড়িহীন যুবকের আকৃতিতে দেখিয়াছি।’’ ইহাকে হাদিছ বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। কিন্তু মিজানোল এতেদাল কেতাবে ইহাকে জাল কথা বলিয়া প্রমাণ করা হইয়াছে। এইরূপ তাছাওয়াফের অনেক কেতাবে দুই চারটি জাল হাদিছ দেখিতে পাওয়া যায়, এক্ষেত্রে তাছাওয়াফের কেতাব পড়া নাজায়েজ হইবে কি?...’’[1]

[1] মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সিরাজগঞ্জের বাহাস, পৃ.৪১-৪২।