৩- প্রয়োজনের তীব্রতা অনুপাতে প্রয়োজনের সীমা নির্ধারণ
অতিশয় নিরুপায় অবস্থাতেও কেবল প্রয়োজনের পরিমাণ অনুপাতে সূদী ঋণ করা যেতে পারে। (অর্থাৎ প্রয়োজনের অধিক টাকা ঋণ করা যাবে না।) পরন্তু সামর্থ্য আসার সাথে সাথেই সর্বাগ্রে ঋণ পরিশোধ করে সূদ থেকে নিস্কৃতি লাভ করা জরুরী। কারণ প্রয়োজন পূরণ হওয়ার পর সূদ হিসাবে একটি পয়সাও দেওয়া নিশ্চিত হারাম।
বাকী থাকল এই প্রশ্ন যে, ‘প্রয়োজন অতীব কিনা? অতীব হলে তার পরিমাণ কতটা? কোন্ সময় সে প্রয়োজন দূরীভূত হবে?---’ সুতরাং এসবের উত্তর অভাবী ব্যক্তির বিবেক এবং দ্বীনদারী অনুভূতির উপর নির্ভরশীল। মানুষ যত বেশী দ্বীনদার এবং তার ঈমান যত বেশী মজবুত হবে, তত বেশী সে এ ব্যাপারে সতর্ক ও সাবধান হবে।