১- সূদ নেওয়া ও দেওয়ার মাঝে পার্থক্য
সূদ নেওয়া এবং দেওয়ার মাঝে পার্থক্য আছে। উভয় কর্ম একই পর্যায়ভুক্ত নয়। কেননা নিরুপায় অবস্থায় সূদভিত্তিক ঋণ নিতে বহু মানুষই বাধ্য হতে পারে। সুতরাং যদি এমন কোন বিপদ ও প্রয়োজন দেখা দেয় যার কারণে সূদের উপর ঋণ নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না অথবা জান বা ইজ্জতের পক্ষে এমন ক্ষতিকর অসুবিধা এসে দেখা দেয়, যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঋণের প্রয়োজন হয় এবং সূদ ছাড়া ঋণই না পাওয়া যায়, তাহলে সে ক্ষেত্রে একজন গত্যন্তরহীন মুসলিমের জন্য সূদভিত্তিক ঋণ নেওয়া বৈধ। পক্ষান্তরে সূদ খাওয়ার জন্য বাস্তবপক্ষে কোনই নিরুপায় অবস্থা নেই। সূদ তো কেবল ধনী লোকই গ্রহণ করে থাকে। আর ধনী লোকেরা এমন কোন্ গত্যন্তরহীন অবস্থায় পড়তে পারে যে, যার ফলে তার জন্য সূদ হালাল হয়ে যাবে?