কতক লোক বড় জোরশোর করে এই আওয়াজ তুলছে যে, সাম্প্রতিক কালে সূদ ব্যাপক বিপত্তির আকার ধারণ করেছে, (যা থেকে বাঁচা কঠিন।) আর এ কথাও বারংবার আওড়ানো হয়ে থাকে যে, সূদ অর্থনীতির বিভিন্ন বুনিয়াদের মধ্যে একটি শক্তিশালী বুনিয়াদরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। কেননা সমস্ত রকমের বাণিজ্যিক ব্যাংক ও কোম্পানীই সূদী কারবার করে থাকে; যার প্রতি উম্মাহ ও জাতি একান্ত মুখাপেক্ষী। আর ব্যাংকের সাথে বিভিন্ন কারবার ও লেন-দেন না করা জাতির স্বার্থের প্রতিকূল। কারণ এমন লেনদেন একান্ত জরুরী ও অপরিহার্য বিষয়ে পরিণত হয়ে পড়েছে। তাই মুসলমান যদি ব্যাংক থেকে দূরে থাকে, তাহলে আর্থিক দিক দিয়ে তারা চরম অবনতির শিকার হয়ে পড়বে। পক্ষান্তরে অন্যান্য জাতি তাদের চাইতে বহু আগে উন্নতির শিখরে অবস্থান করবে।
এই দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাধারার ভিত্তিতে উক্ত ধরনের লোভ ও লোলুপতার শিকার হয়ে অনেকে ব্যাংকের সূদকে জায়েয ও হালাল প্রতিপন্ন করার প্রয়াস করে থাকেন। এ জন্যই তাঁরা ভুল, বিভ্রান্তিকর, অসঙ্গত এবং অযথা দলীল উপস্থাপন তথা ভুয়া যুক্তি ও অযথার্থ কিয়াস পেশ করেন।
আসুন, এখানে আমরা তাঁদের এ দলীলসমূহকে পরখ ও বিবেচনা করে দেখি, যা প্রকৃতপক্ষে (ব্যাংকের সূদ হালালের) দলীলই নয়; বরং তা (দলীল বলে) এক প্রকার ভুল ধারণা ও সন্দেহ। আমরা তাঁদের সন্দিগ্ধ দলীলসমূহ ও ভ্রম ধারণাগুলোকে এক এক করে পেশ করে তার প্রকৃতত্ব, যথার্থতা ও রহস্য উদ্ঘাটন করছি।