ব্যাংকের সুদ কি হালাল সূচি ও বিবরন শাইখ মুশ্তাক আহমাদ কারীমী ১ টি

মূলগত দিক থেকে ব্যাংক হল ‘জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানী’র নাম। ব্যাংক জনসাধারণকে তাদের অর্থ জমা ও গচ্ছিত রাখতে আহ বান জানায়; যাকে ইংরাজীতে ডিপোজিট্স (DEPOSITS) বলা হয়। এই ডিপোজিট কয়েক প্রকারের হয়ঃ-

১- কারেন্ট একাউন্ট (CURRENT ACCOUNT বা চলতি আমানত)। এই একাউন্টে জমা রাখা টাকার উপর সূদ পাওয়া যায় না। এতে গচ্ছিত টাকা যে সময়ে ও যে পরিমাণে ইচ্ছা বিনা বাধায় তুলতে পারা যায়।

২- সেভিং একাউন্ট (SAVING ACCOUNT বা সঞ্চয়ী খাতা)। এই একাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য সাধারণতঃ বিভিন্ন নিয়ম ও শর্তাবলী থাকে। এই খাতায় ব্যাংক সূদ প্রদান করে।

৩- ফিক্স্ড ডিপোজিট (FIXED DEPOSIT বা স্থায়ী আমানত)। এতে নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে টাকা তোলা যায় না। এই টাকার উপরও ব্যাংক সূদ দিয়ে থাকে। মেয়াদ অনুসারে হার নির্ণয় হয়। দীর্ঘ-মেয়াদের ক্ষেত্রে বেশী হারে এবং স্বল্প-মেয়াদের ক্ষেত্রে অল্প হারে সূদ পাওয়া যায়।

উপর্যুক্ত তিন প্রকার ডিপোজিটের মাধ্যমে যখন ব্যাংকের নিকট পুঁজি জমা হয় এবং প্রাথমিকভাবে তার নিকট যে পুঁজি থাকে, তা একত্রীভূত হয় তখন ঐ সমস্ত পুঁজিকে ব্যবহার করার পদ্ধতি এই হয় যে, উক্ত পুঁজির একটি নির্দিষ্ট অংশ চলতি রূপে রিজার্ভ ব্যাংকে জমা করা জরুরী হয়। রিজার্ভ ব্যাংকে এ পুঁজি সাধারণতঃ এমন সরকারী তমসুক (GOVERNMENT SECURITIES) রূপে জমা থাকে, যা সহজেই নগদ টাকায় পরিণত করা সম্ভব হয় এবং তাতে কিছু সূদও পাওয়া যায়। এ ছাড়া ব্যাংক নিজের কাছেও কিছু চলতি অর্থ (LIQUID MONEY) রেখে নেয়; যাতে আমানতকারী (ডিপোজিটার)দের চাহিদাও পূরণ করতে পারে।