৯। স্বামীর বর্তমানে স্ত্রীর রোযা রাখা

স্বামী-স্ত্রীর জীবন বড় মধুর, বড় যৌনসুখময় রোমাঞ্চকর। স্ত্রীর তুলনায় স্বামীই এ সুখ বেশী উপভোগ করে থাকে। তাই মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) মহিলাকে নিষেধ করলেন, যাতে স্বামী ঘরে থাকলে তার বিনা অনুমতিতে স্ত্রী রোযা না রাখে।

আবূ হুরাইরা কর্তৃক বর্ণিত, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘মহিলা যেন স্বামীর বর্তমানে তার বিনা অনুমতিতে রমাযানের রোযা ছাড়া একটি দিনও রোযা না রাখে।’’[1]

উলামাগণ উক্ত নিষেধকে হারামের অর্থে ব্যবহার করেন। আর সে জন্যই বিনা অনুমতিতে স্ত্রী নফল রোযা রাখলে স্বামীর জন্য তা নষ্ট করে দেওয়া বৈধ মনে করেন। যেহেতু এটা স্বামীর প্রাপ্য হক এবং স্ত্রীর তরফ থেকে তার অধিকার হরণ। অবশ্য এ অধিকার কেবল নফল রোযায়, রমাযানের ফরয রোযার ক্ষেত্রে স্বামীর সে অধিকার থাকবে না। আর ফরয রোযা রাখতে স্ত্রীও স্বামীর অনুমতির অপেক্ষা করবে না।

পক্ষান্তরে স্বামী ঘরে না থাকলে তার বিনা অনুমতিতে স্ত্রী নফল রোযা রাখতে পারে। রোযা রাখার পর দিনের বেলায় স্বামী ঘরে ফিরলে, তার অধিকার আছে, সে স্ত্রীর রোযা নষ্ট করতে পারে।

অনুরূপভাবে স্বামী অসুস্থ অথবা সঙ্গমে অক্ষম হলেও স্ত্রী তার বিনা অনুমতিতে রোযা রাখতে পারে।[2]

[1] (আহমাদ, মুসনাদ ২/২৪৫, ৩১৬, বুখারী ৫১৯৫, মুসলিম ১০২৬, আবূ দাঊদ ২৪৫৮, তিরমিযী ৭৮২, ইবনে মাজাহ ১৭৬১, দারেমী, সুনান ১৬৭১নং, ইবনে হিববান, সহীহ ৯৫৪নং, হাকেম, মুস্তাদ্রাক ৪/১৭৩ প্রমুখ)

[2] (ফিকহুস সুন্নাহ ১/৩৯৭)