নিষিদ্ধ দিনগুলি ছাড়া বছরের প্রতি দিন রোযা রাখা মকরূহ অথবা হারাম। কারণ, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘সে রোযা রাখল না, যে সমস্ত দিনগুলিতে রোযা রাখল।’’[1]

তিনি আরো বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন রোযা রাখে, তার রোযা হয় না এবং সে পানাহারও করে না।’’[2]

তিনি আরো বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন রোযা রাখে, তার প্রতি জাহান্নামকে এত সংকীর্ণ করা হয়, পরিশেষে তা এতটুকু হয়ে যায়।’’ আর এ কথা বলার সাথে সাথে তিনি তাঁর হাতের মুঠোকে বন্ধ করলেন।[3]

এখানে জাহান্নাম সংকীর্ণ হওয়ার অর্থ এই যে, জাহান্নামে তার বাসস্থান সংকীর্ণ হবে। যেহেতু সে নিজের জন্য কাঠিন্য পছন্দ করে, কষ্ট সত্ত্বেও তাতে নিজের আত্মাকে উদ্বুদ্ধ করে, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর আদর্শ থেকে বিমুখতা প্রকাশ করে এবং এই মনে করে যে, সে যা করছে তা তাঁর আদর্শ থেকে উত্তম![4]

পক্ষান্তরে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘শোন! আমি তোমাদের সবার চাইতে বেশী আল্লাহকে ভয় করে থাকি, তোমাদের সবার চাইতে আমার তাকওয়া বেশী। কিন্তু আমি রোযা রাখি, আবার তা ত্যাগও করি। রাতে নামায পড়ি, আবার ঘুমিয়েও থাকি। বিবাহ করে স্ত্রী-মিলনও করি। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার সুন্নত-বিমুখ হবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’’[5]

[1] (বুখারী ১৯৭৭, মুসলিম ১১৫৯নং প্রমুখ)

[2] (আহমাদ, মুসনাদ ৪/২৪, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ ১৭০৫, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২১৫০নং, হাকেম, মুস্তাদ্রাক ১/৪৩৫, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৬৩২৩নং)

[3] (আহমাদ, মুসনাদ ৪/৪১৪, বাইহাকী ৪/৩০০, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২১৫৪, ২১৫৫নং)

[4] (দ্রঃ ফাতহুল বারী ৪/১৯৩, যামাঃ ২/৮৩)

[5] (বুখারী ৫০৬৩, মুসলিম ১৪০১নং, প্রমুখ)