রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
চতুর্দশ অধ্যায়- রমাযানের রোযা কাযা করার বিবরণ আবদুল হামীদ ফাইযী ১ টি
চিররোগা খাদ্যদানের পর সুস্থ হলে
কোন চিররোগা লোক প্রত্যেক দিনের পরিবর্তে মিসকীনকে খাদ্য দান করার পর আল্লাহ তাকে আরোগ্য দান করলে তার জন্য ঐ দিনগুলিকে কাযা রাখা জরুরী নয়। যেহেতু রোযার বদলে খাদ্য দান করার ফলে তার দায়িত্ব যথাসময়ে পালন হয়ে গেছে।[1]
কোন রোগী রোগের কারণে রোযা ছেড়ে দিল। তারপর কাযা করার জন্য আরোগ্য লাভের আশায় ছিল। কিন্তু তার রোগ ভালো হল না। বরং জানতে পারল যে, তার রোগ চিরস্থায়ী। এমন লোকের জন্য রোযা কাযা করার বদলে প্রত্যেক দিনের পরিবর্তে এক একটি মিসকীনকে খাদ্য দান করা জরুরী।[2]
একজন রোগী চিররোগ থাকার ফলে রোযা রাখে নি। কিন্তু মিসকীনকে খাদ্যও দান করে নি। অতঃপর কয়েক বছর পার হওয়ার পর সে সুস্থ হয়ে উঠল। এমন রোগীর জন্যও গত রমাযানসমূহের রোযা কাযা করতে বাধ্য নয়। বরং সে প্রত্যেক দিনের বিনিময়ে একটি করে মিসকীন খাওয়াতে বাধ্য। অবশ্য আগামী রমাযানে তার জন্য রোযা রাখা অবশ্যই ফরয।[3]
[1] (সামানিয়া ওয়া আরবাঊন সুআলান ফিস্-সিয়াম ৪১পৃঃ)
[2] (সাবঊনা মাসআলাহ ফিস্-সিয়াম ২৭নং)
[3] (ইবনে বায, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ৩০/১১২, আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৪৫৩)
[2] (সাবঊনা মাসআলাহ ফিস্-সিয়াম ২৭নং)
[3] (ইবনে বায, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ৩০/১১২, আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৪৫৩)