রমাযানের কাযা রোযা রাখার জন্য সময় সংকীর্ণ না হলে তার পূর্বে নফল রোযা রাখা বৈধ ও শুদ্ধ। অতএব সময় যথেষ্ট থাকলে ফরয রোযা কাযা করার আগে মুসলিম নফল রোযা রাখতে পারে। যেমন ফরয নামায আদায় করার আগে নফল নামায পড়তে পারে। আর এতে কোন গোনাহ নেই। উভয়ের মধ্যে অনুমিতির কথা সুস্পষ্ট। তবে উত্তম হল প্রথমে ফরয রোযা কাযা রেখে নেওয়া। এমন কি যুলহজ্জের প্রথম ৮ দিন, আরাফার দিন, আশূরার দিন এসে উপস্থিত হলে সে দিনগুলিতেও কাযা রোযা রাখবে। সম্ভবতঃ তাতে কাযা রাখার সওয়াব ও ঐ দিনগুলির ফযীলত উভয়ই লাভ করবে। আর যদি ধরে নেওয়াই যায় যে, কাযা রাখলে ঐ দিনগুলির ফযীলত পাবে না, তাহলেও নফল রাখা থেকে ফরয কাযা করার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য অধিক।[1] তা ছাড়া কিছু সংখ্যক উলামা রমাযানের রোযা কাযা রাখার পূর্বে নফল রোযা রাখা মকরূহ মনে করেছেন।[2]

পক্ষান্তরে শওয়ালের ছয় রোযা রমাযানের রোযা কাযা করার আগে রাখা যাবে না। রাখলে তা সাধারণ নফলের মান পাবে; শওয়ালের রোযার ফযীলত পাওয়া যাবে না। কেননা, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি রমাযানের রোযা রাখার পর পর শওয়ালের ছয়টি রোযা রাখে, সে ব্যক্তির সারা বছর রোযা রাখা হয়।’’[3] কিন্তু যার রমাযানের রোযা অবশিষ্ট থাকবে, তার ব্যাপারে এ কথা যথাযথ হবে না যে, সে রমাযানের রোযা রেখেছে।[4]

[1] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৪৪৮)

[2] (ইবনে আবী শাইবাহ, মুসান্নাফ ২/৩০৬ দ্রঃ)

[3] (মুসলিম ১১৬৪, আবূ দাঊদ ২৪৩৩, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ ১৭১৬নং, দারেমী, প্রমুখ)

[4] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৪৪৯, ফইঃ ২/১৬৬)