ঈদে একে অপরকে মুবারকবাদ দেওয়া ঈদের অন্যতম আদব ও বৈশিষ্ট্য। এই মুবারকবাদ সাহাবা (রাযি.)-দের যুগে প্রচলিত ও পরিচিত ছিল। জুবাইর বিন নুফাইর বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবাগণ ঈদের দিন একে অন্যের সাথে সাক্ষাৎ হলে বলতেন, ‘তাক্বাববালাল্লাহু মিন্না অমিন্ক।’[1]
মুহাম্মাদ বিন যিয়াদ আলহানী বলেন, আমি আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) ও নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর অন্যান্য সাহাবাগণের সাথে ছিলাম। তাঁরা যখনই (ঈদের নামায পড়ে) ফিরে আসতেন, তখনই একে অপরকে বলতেন, ‘তাক্বাববালাল্লাহু মিন্না অমিন্ক।’[2]
অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, আমি আবূ উমামাকে ঈদে তাঁর সাথীদের জন্য বলতে শুনেছি, ‘তাক্বাববালাল্লাহু মিন্না অমিন্কুম।’[3]
অবশ্য ঈদী মুবারকবাদের শব্দাবলী দেশের প্রচলিত ব্যবহার অনুযায়ী হবে; তবে তাতে এমন শব্দ হলে চলবে না, যা শরীয়তে হারাম। অথবা তা বিজাতীর কাছ থেকে ধার করা বা অনুকরণ করা; অর্থাৎ, তাদের পাল-পর্বনে পরস্পরকে অভিনন্দন জানানোর শব্দ যেন না হয়।[4]
প্রকাশ যে, ঈদের নামাযের পর খাস ঈদী মুআনাকা বা কোলাকুলি শরীয়তে বিধেয় নয়। যেমন ঈদের নামাযের পর কবরস্থানে গিয়ে খাস কবর-যিয়ারত বিদআত।[5]
[2] (যাইল বাইহাকী ৩/৩২০)
[3] (তামামুল মিন্নাহ, আল্লামা আলবানী ৩৫৫পৃঃ)
[4] (আসইলাতুন অআজবিবাতুন ফী সবলাতিল ঈদাঈন ৭পৃঃ, মাজাল্লাতুল বায়ান ১৩৬/২৬)
[5] (আহকামুল জানায়েয, আলবানী আলবানী ২৫৮পৃঃ, মু’জামুল বিদা’ ১৫৪পৃঃ)