শেষ রোযার দিন সূর্য অস্ত যাওয়ার পর থেকে ঈদের নামায শুরু হওয়া পর্যন্ত তকবীর পাঠ করা বিধেয়। এর দলীল মহান আল্লাহর স্পষ্ট বাণীঃ

(وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ)

অর্থাৎ, যেন তোমরা নির্ধারিত সংখ্যা পূরণ করে নিতে পার এবং তোমাদেরকে যে সুপথ দেখিয়েছেন তার জন্য তোমরা আল্লাহর তকবীর পাঠ কর এবং যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার।

(কুরআনুল কারীম ২/১৮৫)

কোন কোন উলামা বলেন, এই তকবীর পাঠ করা ওয়াজেব। অবশ্য তা একবার পাঠ করলেই ওয়াজেব পালনে যথেষ্ট হবে।[1]

এই তকবীর আল্লাহর তা’যীম ঘোষণা এবং তাঁর ইবাদত ও শুকরিয়া প্রকাশের উদ্দেশ্যে পুরুষের জন্য মসজিদে, ঘরে, বাজারে ও রাস্তা-ঘাটে উচ্চস্বরে পাঠ করা সুন্নত। সলফদের নিকট ঈদগাহের প্রতি বের হওয়া থেকে শুরু করে ইমাম আসার আগে পর্যন্ত উক্ত তকবীর পাঠ করার কথা অতিশয় প্রসিদ্ধ ছিল। এ কথা সলফদের আমল বর্ণনাকারী এক জামাআত গ্রন্থকার; যেমন ইবনে আবী শাইবাহ, আব্দুর রায্যাক ও ফিরয়াবী তাঁদের এ আমল নিজ নিজ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। আর মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কর্তৃকও এ কথা সরাসরিভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[2]

মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) উচ্চস্বরে তকবীর পাঠ করতে করতে উভয় ঈদে বের হতেন।[3]

[1] (মুহাল্লাঃ ৫/৮৯)

[2] (ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩/১২১-১২৩, আল্লামা আলবানী এ ব্যাপারে মারফূ’ ও মাওকূফ উভয় সূত্রকে সহীহ বলেছেন।)

[3] (সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৪৯৩৪নং)