রমাযান মাসে আর একটি মহৎ কাজ হল রোযাদার মানুষকে ইফতার করানো। রোযাদার গরীব হোক অথবা ধনী, বন্ধু হোক অথবা আত্মীয় অথবা দূরের কেউ, অথবা না হোক কিছু খাইয়ে তাকে ইফতার করালে তাতে বড় উপকার রয়েছে সকলের জন্য। যেহেতু ইফতারীর এই খুশীর সময় সকলে সমবেত হয়ে একে অন্যকে ফলপ্রসূ নসীহত করতে পারে। আর তার ফলে তাদের মাঝে সৃষ্টি হয় পারস্পরিক সম্প্রীতি, সহানুভূতি, সংহতি ও দয়ার্দ্রতা।

তাছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর সওয়াব। যায়দ বিন খালেদ জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করায় সেই ব্যক্তিও ঐ রোযাদারের সমপরিমাণই সওয়াব অর্জন করে। আর এতে ঐ রোযাদারের সওয়াব কিঞ্চিৎ পরিমাণও কম হয়ে যায় না।’’[1]

সলফদের অনেকেই রোযা থাকতে নিজের ইফতারী অপরকে দান করতেন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন, আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ), দাঊদ ত্বাঈ, মালেক বিন দ্বীনার, আহমাদ বিন হাম্বল, প্রমুখ। আব্দুল্লাহ বিন উমার কিছু এতীম ও মিসকীন ছাড়া একাকী ইফতার করতেন না। আর যদি কোন দিন তিনি জানতে পারতেন যে, তাঁর পরিবার তাদেরকে তাঁর কাছে আসতে বাধা দিয়েছে বা তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে, তাহলে সে দিন আর ইফতারই করতেন না!

আবুস সাওয়ার আদাবী বলেন, আদী বংশের কিছু লোক ছিলেন, যাঁরা এই মসজিদে নামায পড়তেন; তাঁদের মধ্যে কেউই কোন খাবার দ্বারা একাকী ইফতার করতেন না। যদি সঙ্গে খাওয়ার লোক পেতেন, তাহলে খেতেন। নচেৎ, তাঁদের ইফতারী নিয়ে মসজিদে এসে লোকেদের সাথে খেতেন এবং লোকেরা তাঁদের সাথে ইফতারী করত।[2]

[1] (তিরমিযী ৮০৬, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ ১৭৪৬, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ, ইবনে হিববান, সহীহ, সহীহ তারগীব, আলবানী ১০৬৫ নং)

[2] (কাইফা নাঈশু রামাযান, আব্দুল্লাহ আস-সালেহ১৫পৃঃ দ্রঃ)