যে ব্যক্তি কোন ওযরবশতঃ রাতের নামায (তারাবীহ, তাহাজ্জুদ বা কিয়াম) পড়তে সুযোগ না পায়, সে যদি দিনে তা কাযা করে নেয়, তাহলে তা তার জন্য বৈধ এবং তাতে সওয়াব ও ফযীলতও আছে। তবে বিতর সহ সে কাযা তাকে জোড় বানিয়ে পড়তে হবে। বলা বাহুল্য, তার অভ্যাস মত ১১ রাকআত কিয়াম ছুটে গেলে, দিনের বেলায় ফজর ও যোহরের মধ্যবর্তী সময়ে ১২ রাকআত নামায কাযা পড়বে।

মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর তাহাজ্জুদ ঘুম বা ব্যথা-বেদনা ইত্যাদি কারণে ছুটে গেলে দিনে ১২ রাকআত কাযা পড়তেন।[1] উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি তার (পূর্ণ) অযীফা (তাহাজ্জুদের নামায, কুরআন ইত্যাদি) অথবা তার কিছু অংশ রেখে ঘুমিয়ে যায়, কিন্তু তা যদি ফজর ও যোহরের নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে আদায় করে নেয় তবে তার জন্য পূর্ণ সওয়াবই লিপিবদ্ধ করা হয়, যেন সে ঐ অযীফা রাত্রেই সম্পন্ন করেছে।’’[2]

[1] (মুসলিম ৭৪৬নং)

[2] (মুসলিম ৭৪৭নং, সুনান আবূ দাউদ, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ)