মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) রাতের কিয়ামকে খুব লম্বা করতেন। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ৪ রাকআত নামায পড়তেন। সুতরাং তুমি সেই নামাযের সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করো না। (অর্থাৎ অত্যন্ত সুন্দর ও দীর্ঘ হত।) অতঃপর তিনি ৪ রাকআত নামায পড়তেন। সুতরাং তুমি সেই নামাযের সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করো না। অতঃপর তিনি ৩ রাকআত (বিত্র) নামায পড়তেন।’[1]
হুযাইফা (রাঃ) বলেন, ‘একদা তিনি এক রাকআতে সূরা বাক্বারাহ, আ-লি ইমরান ও নিসা ধীরে ধীরে পাঠ করেন।’[2]
উমার (রাঃ)-এর যামানায় সলফগণ তারাবীহর নামাযের ক্বিরাআত লম্বা করে পড়তেন। পূর্ণ নামাযে প্রায় ৩০০টি আয়াত পাঠ করতেন। এমন কি এই দীর্ঘ কিয়ামের কারণে অনেকে লাঠির উপর ভর করে দাঁড়াতেন এবং ফজরের সামান্য পূর্বে তাঁরা নামায শেষ করে বাসায় ফিরতেন। সেই সময় খাদেমরা সেহরী খাওয়া সম্ভব হবে না -এই আশঙ্কায় খাবার নিয়ে তাড়াতাড়ি করত।[3]
তাঁরা ৮ রাকআতে সূরা বাক্বারাহ পড়ে শেষ করতেন এবং তা ১২ রাকআতে পড়া হলে মনে করা হত যে, নামায হাল্কা হয়ে গেল।[4]
ইবনে কুদামাহ বলেন, ইমাম আহমাদ বলেছেন, রমাযান মাসে (তারাবীহর নামাযে) এমন ক্বিরাআত করা উচিৎ, যাতে লোকেদের জন্য তা হাল্কা হয় এবং কাউকে কষ্ট না লাগে। বিশেষ করে (গ্রীষেমর) ছোট রাতগুলিতে লম্বা ক্বিরাআত করা উচিৎ নয়। আসলে লোকেরা যতটা বহন করতে পারবে ততটা পরিমাণে নামায লম্বা হওয়া উচিৎ।[5]
[2] (মুসলিম ৭৭২, নাসাঈ ১০০৮, ১১৩২নং)
[3] (মালেক, মুওয়াত্তা ২৪৯, ২৫১, ২৫২, মিশকাতুল মাসাবীহ ১/৪০৮ আলবানীর টীকা দ্রঃ)
[4] (ঐ)
[5] (আল-মুগনী, ইবনে কুদামাহ ২/১৬৯)