গণীমতের মাল বন্টনে নাবী (সাঃ) এর তরীকা

নাবী (ﷺ) মালে গণীমত থেকে অশ্বারোহী যোদ্ধাকে তিন অংশ এবং পদাতিক সৈন্যকে এক অংশ প্রদান করার হুকুম দিয়েছেন। যে মুজাহিদ কোন শত্রুকে হত্যা করবে, সেই নিহত শত্রুর সাথে প্রাপ্ত সকল বস্ত্ত হত্যাকারীকে দেয়ার ফয়সালা করেছেন।

তালহা এবং সাঈদ বিন যায়েদ (রাঃ) বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ না করা সত্ত্বেও তিনি তাদেরকে গণীমতের মাল থেকে ভাগ দিয়েছেন। তখন তারা উভয়েই বললেন- আমাদের জন্য কি আখিরাতে ছাওয়াবও রয়েছে? নাবী (ﷺ) তখন বললেন- তোমরা ছাওয়াব থেকেও বঞ্চিত হবেনা।

রসূল (ﷺ) এর কন্যা রুকাইয়া উছমান বিন আফফান (রাঃ) এর বিবাহাধীনে ছিলেন। সকল আলেম এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন যে, রুকাইয়া অসুস্থ থাকার কারণে তিনি বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারেন নি। রসূল (ﷺ) থেকে অনুমতি নিয়েই তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। অতঃপর তিনি উছমান (রাঃ) কে বদরের যুদ্ধের মালে গণীমত থেকে অংশ দিয়েছেন। তিনিও তখন বললেন- পরকালেও আমার জন্য কি বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণের ছাওয়াব রয়েছে? তিনি বললেন- তোমার জন্য ছাওয়াবও নির্ধারিত হয়েছে।

ইবনে হাবীব বলেন- এটি (অনুপস্থিতকে গণীমতের মাল দেয়া) শুধু নাবী (ﷺ) এর জন্য খাস ছিল। পরবর্তীতে যুদ্ধে অনুপস্থিত ব্যক্তিকে গণীমতের মাল থেকে কোন অংশ না দেয়ার ব্যাপারে আলেমগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন।

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) বলেন- ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, ইমাম মালেক এবং পূর্ব ও পরবর্তী যামানার এক দল আলেমের মতে মুসলিমদের শাসক যদি কাউকে যুদ্ধে না পাঠিয়ে মুসলমানদের অন্য কোন কাজে প্রেরণ করে, তাহলে তার জন্যও গণীমতের মালের অংশ নির্ধারণ করা হবে। নাবী (ﷺ) সাল্ব তথা নিহত শত্রুর সাথে প্রাপ্ত সম্পদ পাঁচ ভাগের আওতায় আনেন নি; বরং এটিকে গণীমতের মূল সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হিসাবে নির্ধারণ করে একজন সাক্ষীর উপর ভিত্তি করে হত্যাকারীকেই দিয়ে দিতেন।