কবরের উপর বসে কুরআন বা অন্য কিছু পাঠ করা এবং মৃত ব্যক্তিকে কোন কিছুর তালকীন দেয়া (শিক্ষা দেয়া) তাঁর পবিত্র সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা। কবর উঁচু করা, তা পাকা করা, তার উপর গম্বুজ নির্মাণ করা এবং তাতে চুনকাম করাও তার সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা। বরং এ কাজগুলো সুন্নাতের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তিনি আলী বিন আবু তালেব (রাঃ) কে এই আদেশ দিয়ে পাঠালেন যে, কোন মূর্তি পেলে তিনি যেন তা মিটিয়ে ফেলেন এবং উঁচু কোন কবর পেলে তা যেন মাটির সমান করে দেন।[1] সুতরাং তাঁর পবিত্র সুন্নাত হচ্ছে সমস্ত উঁচু কবর মাটির সমান করে দেয়া। তিনি কবরকে পাকা করত তার উপর কিছু নির্মাণ করতে, তার উপর বসতে এবং তাতে কিছু লিখতে নিষেধ করেছেন। আর যে ব্যক্তি কোন কবরকে চিনে রাখতে চায় তাকে শিক্ষা দিতেন যে, সে যেন কবরের উপর নিশানা স্বরূপ একটি পাথর রেখে দেয়।[2] তিনি কবরকে মসজিদে রূপান্তরিত করতে এবং তার উপর বাতি জ্বালাতে নিষেধ করেছেন।[3] যারা এ কাজগুলো করে তাদের উপর তিনি লা’নত করেছেন। তিনি কবরের দিকে ফিরে সলাত পড়তে নিষেধ করেছেন এবং তাঁর কবরকে ঈদ ও মেলার (উরুছের) স্থানে পরিণত করতে নিষেধ করেছেন।
তিনি এক দিকে কবরকে অপদস্ত করতে, পদদলিত করতে, তার উপর বসতে এবং তাতে হেলান দিয়ে বসতে নিষেধ করেছেন এবং অন্য দিকে তাকে সম্মান করে মসজিদ, উৎসবের স্থান এবং পূজার স্থানে পরিণত করতে নিষেধ করেছেন।
[2]. সহীহ আবু দাউদ, আলএ. হা/২৭৪৫, ইমাম আলবানী রহঃ) হাসান বলেছেন।
[3]. মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত হা/৭৪০, ইমাম আলবানী রহঃ) হাসান বলেছেন।