তিনি চার তাকবীরে জানাযা সলাত পড়তেন। তাঁর থেকে পাঁচ তাকবীরের কথাও সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। সাহাবীগণ চার, পাঁচ এবং ছয় তাকবীরেও জানাযা সলাত পড়তেন। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদের ছাত্র আলকামা বলেন- আমি আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) কে বললাম- শাম থেকে মুআয বিন জাবালের কিছু সাথী আগমণ করেছে। তারা তাদের একজন মাইয়্যেতের জানাযা সলাতে পাঁচ তাকবীর দিয়েছে। তিনি বললেন- মাইয়্যেতের জানাযা সলাতে তাকবীরের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। ইমাম যে কয়টি তাকবীর দেয় তুমিও সেই কয়টি তাকবীর দাও। আর ইমাম যখন সালাম ফেরাবে তখন তুমিও সালাম ফিরাও।[1]
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হল, আপনার কি জানা আছে যে, নাবী (ﷺ) এর কোন সাহাবী জানাযা সলাতে দুই দিকে সালাম ফিরাতেন? তিনি বললেন- না। তবে ছয়জন সাহাবী থেকে জানা যাচ্ছে যে, তারা শুধু ডান দিকে সংক্ষিপ্ত সালাম পেশ করতেন। অতঃপর তিনি ইবনে উমার, ইবনে আব্বাস এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) এর নাম উল্লেখ করেছেন।
্রاللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ، اللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ গ্ধ
হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ সাঃ) ও তাঁর পরিবারের উপর ঐ রূপ রহমত নাযিল কর যে রূপ নাযিল করেছিলে ইবরাহীম আঃ) ও তাঁর পরিবারের উপর নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানিত। হে আল্লাহ ! তুমি মুহাম্মদ সাঃ) ও তাঁর পরিবারের উপর বরকত নাজিল কর যেমনটি বরকত নাযিল করেছিলে ইবরাহীম ও তাঁর পরিবারের উপর নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানিত। (বুখারী ও মুসলিম) অতঃপর তৃতীয় তাকবীর দিয়ে এই দুআটি পাঠ করব্রে
اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا اللّٰهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الإِيمَانِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الإِسْلاَمِ اللّٰهُمَّ لاَ تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ وَلاَ تُضِلَّنَا بَعْدَهُগ্ধ
‘‘হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের জীবিত-মৃত, উপস্থিত অনুপস্থিত, ছোট ও বড় নর ও নারীদেরকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের মাঝে যাদের তুমি জীবিত রেখেছো তাদেরকে ইসলামের উপরে জীবিত রাখ এবং যাদেরকে মৃত্যু দান করেছো তাদেরকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দান কর। হে আল্লাহ্! আমাদেরকে তার সওয়াব হতে বঞ্চিত করোনা এবং তার মৃত্যুর পর আমাদেরকে পথ ভ্রষ্ট করোনা’’। (আবু দাউদ, আলএ. হা/৩২০১) অথবা নিম্নের দুআটি পাঠ করবে।
(اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعاَفِهِ واَعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْماَءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرْدِ، وَنَقِّهِ مِنْ الْخَطاَياَ كَمَا يُنَقَّىالثَّوْبُ الأبْيَضُ مِنْ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِّنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيْراً مِّنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذاَبِ الْقَبْرِ، وَعَذاَبِ النَّارِগ্ধ
‘‘হে আল্লাহ্! তুমি তাকে ক্ষমা কর, তার প্রতি দয়া কর, তাকে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তায় রাখ। তাকে মাফ করে দাও। তার আতিথেয়তা সম্মানজনক কর। তার বাসস্থানকে প্রশস্থ করে দাও। তুমি তাকে ধৌত কর পানি, বরফ ও শিশির দিয়ে। তাকে গুনাহ হতে এমন ভাবে পরিষ্কার কর যেমন করে সাদা কাপড়কে ময়লা হতে পরিষ্কার করা হয়। তাকে তার দুনিয়ার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর দান কর। তার দুনিয়ার পরিবার অপেক্ষা উত্তম পরিবার দান কর। আরো তাকে দান কর তার (দুনিয়ার) স্ত্রী অপেক্ষা উত্তম স্ত্রী। তাকে জান্নাত প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তাকে কবরের আযাব ও জাহান্নামের আযাব হতে পরিত্রাণ দাও’’। (মুসলিম, হাএ. হা/২১২১, ২১২৪, ইফা. হা/ ২১০০, নাসায়ী, মাপ্র. হা/১৯৮৪, মিশকাত, হা/১৬৫৫) অতঃপর চতুর্থ তাকবীর দিয়ে সালাম ফেরাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে উপরোক্ত দু’টি দুআ ব্যতীত অন্যসব দুআ নাবী সাঃ) পর্যস্ত বিশুদ্ধ সনদে প্রমাণিত নয়। তবে সাহাবীদের থেকে প্রমাণিত।