নাবী (ﷺ) এর পবিত্র অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত ছিল যে, সাহাবীদের মধ্যে যারা অসুস্থ হতেন তিনি তাদেরকে দেখতে যেতেন। এক ইহুদী ছেলে তাঁর খেদমত করত। সে অসুস্থ হলে তিনি তাকে দেখতে গিয়েছিলেন।[1] তাঁর মুশরিক চাচা অসুস্থ হলে তার পাশেও তিনি উপস্থিত হয়েছেন।[2] অসুস্থ অবস্থায় উভয়ের কাছেই তিনি ইসলাম পেশ করেছেন। বালকটি ইসলাম কবুল করেছে। কিন্তু তাঁর মুশরিক চাচা তা কবুল করে নি।
তিনি রোগীর খুব কাছাকাছি যেতেন এবং মাথার পাশে বসে তার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। তাঁর ডান হাত রোগীর শরীরে বুলাতেন। এ সময় তিনি বলতেন-
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ اشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي لا شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لا يُغَادِرُ سَقَمًا
‘‘কষ্ট দূর করে দাও হে মানুষের প্রভু! নিরাময় দান কর। তুমিই নিরাময় দানকারী। তোমার নিরাময় দানই আসল নিরাময়। তুমি এমন নিরাময় দান কর, যা কোন রেসূই অবশিষ্ট রাখবে না’’।[3] রেসূীর জন্য তিনি তিনবার দু’আ করতেন। তিনি সা’দ (রাঃ) কে দেখতে গিয়ে তিনবার বলেছেন। اللهم اشْفِ سَعْدًا হে আল্লাহ! তুমি সাদকে সুস্থতা দান কর। রোগীর কাছে প্রবেশ করার সময় তিনি বলতেন-
لاَ بَأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللهُ
অর্থ: ভয় নেই, আল্লাহর মেহেরবাণীতে আরেস্যূ লাভ করবে ইনশা-আল্লাহ।[4]
কখনও বলতেন- كفارة وطهور উভয় বাক্যের অর্থ হচ্ছে, চিন্তার কোন কারণ নেই। ইনশা-আল্লাহ্ তোমার এই অসুখ ভাল হয়ে যাবে এবং গুনাহসমূহের কাফ্ফারা বদলা হয়ে যাবে।
[2]. বুখারী ও মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান।
[3]. বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত তিবব, বুখারী, তাও. হা/৫৬৭৫, ইফা. হা/৫১৬০, আপ্র. হা/৫২৬৪, মুসলিম, হাএ. হা/৫৬০০,
ইফা. হা/৫৫১৯, ইসে. হা/৫৫৪৪, মিশকাত, মাশা. হা/১৫৩০
[4]. বুখারী, তাও. হা/৫৬৬২ ইফা. হা/৫১৪৭, আপ্র. হা/৫২৫১, মিশকাত, মাশা. হা/১৫২৯।