সুতরাং উপরোক্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনা হতে জানা গেল, আল্লাহ্ তা‘আলা প্রত্যেক বস্ত্ত হতে কেবল পবিত্র বস্ত্তই পছন্দ করেছেন এবং নিজের জন্য তা নির্বাচন করেছেন। আল্লাহ্ তা‘আলা পবিত্র। তিনি পবিত্র বস্ত্ত ছাড়া অন্য কিছুকেই ভালবাসেন না। আল্লাহর দরবারে পবিত্র কথা, পবিত্র আমল এবং পবিত্র দান-খয়রাতই পৌঁছে।
পবিত্র বস্ত্ত সংগ্রহ ও নির্বাচন করা বা না করার মধ্যেই বান্দার সৌভাগ্যবান হওয়া বা দুর্ভাগা হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে। পবিত্র ব্যক্তির জন্য কেবল পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করা শোভনীয়। পবিত্র বান্দা কেবল পবিত্র জিনিষ পেয়েই সন্তুষ্ট হয়, তা পেয়েই স্থির হয় এবং মানুষের আত্মা তা পেয়েই প্রশান্তি লাভ করে।
বনী আদমের কথা-বার্তার মধ্য থেকে আল্লাহ্ তা‘আলা কেবল পবিত্র ও উত্তম কথাগুলোকেই পছন্দ করেন। পবিত্র কথা ছাড়া আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে অন্য কোন কথা উর্ধ্বমূখী হয়না। তিনি অশ্লীল বাক্য, মিথ্যা কথা, গীবত, চোগলখোরী, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া এবং প্রত্যেক অপবিত্র কথাকে ঘৃণা করেন।
বান্দার আমলসমূহের ক্ষেত্রেও একই কথা। তা থেকে পবিত্র ও উত্তম ছাড়া অন্য কিছুকেই আল্লাহ্ তা‘আলা কবুল করেন না। পবিত্র আমল বলতে তাকেই বুঝায়, যাকে অবিকৃত স্বভাব ও রুচি সুন্দর বলে স্বীকৃতি দিয়েছে, শরীয়তে মুহাম্মাদী যার উপর জোর দিয়েছে এবং সুস্থ বিবেক যাকে পবিত্র বলেছে। আর তা হচ্ছে, বান্দা এককভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, তার ইবাদতে অন্য কাউকে শরীক করবেনা, নিজের প্রবৃত্তি ও মর্জীর উপর আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পছন্দকে প্রাধান্য দিবে, আল্লাহর রেযামন্দি হাসিলের জন্য সকল প্রকার প্রচেষ্টা চালাবে, সাধ্যানুসারে আল্লাহর বান্দাদের উপর অনুগ্রহ করবে এবং মানুষের সাথে কেবল সে রকম আচরণই করবে, যা নিজের সাথে করাকে পছন্দ করে।
সেই সাথে স্বভাব-চরিত্রও পবিত্র এবং সুউচ্চ হওয়া আবশ্যক। আল্লাহর প্রিয় ও পবিত্র বান্দা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর আখলাক-চরিত্র ছিল পুত-পবিত্র। সহিষ্ণুতা, সহনশীলতা, ধৈর্যশীলতা, দয়া, ওয়াদা-অঙ্গিকার পূর্ণ করা, সত্য বলা, অন্তরের পরিচ্ছন্নতা, বিনয়-নম্রতা, নরম-ভদ্র ব্যবহার, মানুষের কাছে কিছু চাওয়া থেকে চেহারাকে হেফাজত করা এবং আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের কাছে নত হওয়া থেকে বিরত থাকা ছিল তাঁর চরিত্রের অন্যতম ভূষণ। এই পবিত্র স্বভাব ও চারিত্রিক গুণাবলী আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দনীয়।
এমনি বান্দার উচিৎ কেবল পবিত্র খাদ্যই গ্রহণ করা। আর পবিত্র খাদ্যই হালাল, সুস্বাদু এবং শরীর এবং ‘রূহের জন্য সর্বাধিক উপকারী। সেই সাথে বান্দার ইবাদত-বন্দেগীর জন্যও নিরাপদ।
পবিত্র মুমিন বান্দার উচিৎ বিবাহ-সাদীর ক্ষেত্রেও কেবল পবিত্রকেই বেছে নেওয়া, সুগন্ধির মধ্যে হতে কেবল সর্বোত্তম সুঘ্রাণকেই নির্বাচন করা এবং পবিত্র সাথীকেই নিজের জন্য চয়ন করা। সুতরাং এমন বন্ধু গ্রহণ করা উচিৎ, যার আত্মা পবিত্র, যার শরীর পবিত্র, যার চরিত্র উত্তম, যার আমল ভাল, যার কথা পবিত্র, যার খাদ্য হালাল, যার পানীয় উত্তম, যার পোশাক-পরিচ্ছদ পবিত্র, যার বিবাহশাদী পবিত্র, যার ভিতর-বাহির পবিত্র, যার প্রস্থান পবিত্র এবং আশ্রয়স্থলসহ সবকিছুই পবিত্র। এমন পবিত্র লোকদের ব্যাপারেই আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-
الَّذِينَ تَتَوَفَّاهُمُ الْمَلائِكَةُ طَيِّبِينَ يَقُولُونَ سَلامٌ عَلَيْكُمُ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
‘‘ফেরেশতাগণ যাদের মৃত্যু ঘটায় পবিত্র থাকা অবস্থায় এই বলে যে, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তোমরা যে আমল করতে, তার প্রতিদান হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ কর’’।[1] কিয়ামতের দিন আল্লাহর ফিরিস্তাগণ এই প্রকার লোকদেরকেই স্বাগত জানিয়ে বলবেনঃ
وَسِيقَ الَّذِينَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ زُمَرًا حَتَّى إِذَا جَاءُوهَا وَفُتِحَتْ أَبْوَابُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَا سَلامٌ عَلَيْكُمْ طِبْتُمْ فَادْخُلُوهَا خَالِدِينَ وَقَالُوا الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِي صَدَقَنَا وَعْدَهُ وَأَوْرَثَنَا الأرْضَ نَتَبَوَّأُ مِنَ الْجَنَّةِ حَيْثُ نَشَاءُ فَنِعْمَ أَجْرُ الْعَامِلِينَ
‘‘যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করত, তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা উম্মুক্ত দরজা দিয়ে জান্নাতে পেঁŠছাবে এবং জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা সুখে থাক, অতঃপর সদাসর্বদা বসবাসের জন্যে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর। তারা বলবে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের প্রতি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে এ ভূমির উত্তরাধিকারী করেছেন। আমরা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা বসবাস করব। মেহনত কারীদের পুরস্কার কতই না চমৎকার’’।[2] উপরের আয়াতে فادخلوها এর মধ্যে যে فا অক্ষরটি রয়েছে, তা সাবাবীয়া তথা ‘কারণ’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। পবিত্র জিনিষ নির্বাচন ও গ্রহণ করার কারণেই তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর। আল্লাহ্ তা‘আলা আরও বলেন-
الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ وَالْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَاتِ أُولَئِكَ مُبَرَّءُونَ مِمَّا يَقُولُونَ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
‘‘দুঃশ্চরিত্র (অপবিত্র) নারীরা দুশ্চরিত্র (অপবিত্র) পুরুষদের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র (অপবিত্র) পুরুষরা দুশ্চরিত্র (অপবিত্র) নারীদের জন্যে। সচ্চরিত্র (পবিত্র) নারীগণ সচ্চরিত্র (পবিত্র) পুরুষদের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষগণ সচ্চরিত্র নারীদের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকেরা যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও সম্মান জনক জীবিকা’’।[3]
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় দু’টি মত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। (১) অপবিত্র কথা-বার্তা কেবল অপবিত্র লোকদের জন্যই। আর পবিত্র লোকগণই পবিত্র কথা-বার্তা বলে থাকে। (২) পবিত্র নারীগণ শুধু পবিত্র পুরুষদের জন্যই হালাল ও শোভনীয়। আর অপবিত্র নারীরা কেবল অপবিত্র পুরুষদের জন্যই। উপরোক্ত আয়াতটি উল্লেখিত দুই অর্থ ছাড়া অধিকতর আম (ব্যাপক) অর্থে ব্যবহার করতে কোন মানা নেই। কোন খাস (বিশেষ) অর্থে ব্যবহার করার সুযোগ নেই।
সুতরাং পবিত্র কথা, পবিত্র আমল এবং পবিত্র নারীগণ পবিত্র পুরুষদের জন্য এবং পবিত্র কথা, পবিত্র আমল এবং পবিত্র পুরুষগণ পবিত্র নারীদের জন্য। অপর পক্ষে অপবিত্র কথা, অপবিত্র কাজ ও অপবিত্র নারীগণ অপবিত্র পুরুষদের জন্য। এমনি অপবিত্র কথা, অপবিত্র কাজ এবং অপবিত্র পুরুষগণ অপবিত্র নারীদের জন্য।
আল্লাহ্ তা‘আলা সমস্ত পবিত্র মানুষ ও সকল পবিত্র বস্ত্তকে জান্নাতের জন্য নির্ধারণ করেছেন এবং সকল অপবিত্র বনী আদম ও অপবিত্র জিনিষকে জাহান্নামে রাখবেন।
সুতরাং ঘর বা বাসস্থান মোট তিনটি। (১) এমন একটি ঘর, যা কেবল পবিত্র লোকদের জন্যই তৈরী করা হয়েছে। অপবিত্র লোকদের জন্য এখানে প্রবেশাধিকার নেই। এটি সকল পবিত্র মানুষ ও বস্ত্তকেই নিজের মধ্যে একত্রিত করবে। আর সেটি হচ্ছে জান্নাত। (২) এমন একটি ঘর, যাকে প্রস্ত্তত করা হয়েছে অপবিত্র নারী-পুরুষ ও অপবিত্র বস্ত্তর জন্যে। নিকৃষ্ট লোকেরাই সেখানে প্রবেশ করবে। সেটি হচ্ছে জাহান্নাম। (৩) এমন একটি ঘর, যেখানে পবিত্র-অপবিত্র নর-নারী এবং ভাল-মন্দ সকল জিনিষ এক সাথে মিশ্রিত অবস্থায় রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে এই পার্থিব জগত তথা দুনিয়ার ঘর। ভাল-মন্দের মিশ্রণ ও মিলন ঘটিয়েই দয়াময় আল্লাহ্ এখানে বান্দাকে পরীক্ষা করতে চেয়েছেন। কিন্তু যখন কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ্ তা‘আলা অপবিত্রকে পবিত্র থেকে আলাদা করে ফেলবেন। পবিত্র নিয়ামাত ও নিয়ামাতপ্রাপ্ত লোকদেরকে একটি ঘরে (জান্নাতে) আলাদা করবেন। এতে তাদের সাথে অন্য কেউ থাকবেনা। আরেকটি ঘরে অপবিত্র ও নিকৃষ্ট বস্ত্ত এবং খবীছ (নিকৃষ্ট) লোকদেরকে একত্রিত করবেন। সেখানে তারা ব্যতীত অন্যরা থাকবেনা। পরিশেষে শুধু দু’টি ঠিকানাই অবশিষ্ট থাকবে। প্রথম ঠিকানা হচ্ছে জান্নাত। পবিত্র লোকেরাই সেখানে প্রবেশ করবে। আর দ্বিতীয় ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। অপবিত্র ও পাপিষ্ঠরাই সেখানে প্রবেশ করবে।
আল্লাহ্ তা‘আলা সৌভাগ্যবান এবং হতভাগ্যের জন্য বেশ কিছু আলামত নির্ধারণ করেছেন। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে পার্থক্য করা সহজ। সৌভাগ্যবান পবিত্র লোক কেবল পবিত্র আমলই করবে এবং পবিত্র কাজ করাই তার জন্য শোভনীয়। তার থেকে পবিত্র ছাড়া অন্য কিছু বের হয়না, পবিত্র পোশাক ছাড়া সে অন্য পোশাক পরিধান করেনা।
আর হতভাগ্য অপবিত্র লোক কেবল অপবিত্র কাজ করে থাকে এবং অপবিত্র কাজই তার জন্য শোভনীয়। অপবিত্র আমল ব্যতীত তার থেকে অন্য কিছু প্রকাশ পায়না। নিকৃষ্ট এবং অপবিত্র লোকের অন্তর, জবান এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে কেবল নিকৃষ্ট বস্ত্তই বিস্ফোরিত হয়। আর পবিত্র লোকের অন্তর, জবান এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে কেবল পবিত্র বস্ত্তই বিকশিত হয় ও চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কখনও কখনও একই ব্যক্তির মধ্যে উভয় প্রকার অভ্যাসই পাওয়া যায়। এই উভয় প্রকার অভ্যাসের যেটি বান্দার উপর জয়লাভ করে, বান্দা সেই প্রকার লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবে। অর্থাৎ যার মধ্যে উত্তম ও পবিত্র গুণাবলী বেশী পাওয়া যাবে, তাকে পবিত্র লোকদের ঠিকানায় স্থান দেয়া হবে। আর যার মধ্যে এর বিপরীত গুণাবলী পাওয়া যাবে, তাকে অপবিত্র লোকদের ঠিকানায় পৌঁছিয়ে দেয়া হবে। আল্লাহ তা‘আলা যদি কোন বান্দার কল্যাণ চান, তাহলে তিনি তার মৃত্যুর পূর্বেই তাকে গুনাহ্ থেকে পবিত্র করে দেন। দোযখের আগুন দিয়ে তাকে পবিত্র করার প্রয়োজন পড়েনা। সুতরাং আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে তাওবায়ে নাসুহ তথা খাঁটি তাওবা করার তাওফীক দেন, পাপ কাজসমূহ মোচনকারী সৎ আমল করার সুযোগ করে দেন এবং এমন মসীবতে ফেলেন, যা গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেয়। পরিশেষে এমন অবস্থায় সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করে যে, তার কোন গুনাহ্ থাকেনা।
আল্লাহ্ তা‘আলার হিকমতের অন্যতম দাবী হচ্ছে, কোন বান্দা অপবিত্র আমল নিয়ে তাঁর সান্নিধ্যে আগমণ করবেনা। এই জন্যই যাদের মধ্যে পাক-নাপাক উভয়ের মিশ্রণ ঘটেছে, তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করিয়ে পবিত্র ও পরিষ্কার করা হবে। যখন সে দোষ-ত্রুটি হতে পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে, তখন সে আল্লাহ্ তা‘আলার পাশে এবং তাঁর পবিত্র বান্দাদের জন্য নির্ধারিত বাসস্থানে বসবাসের উপযোগী হবে। এই প্রকার লোকদের জাহান্নামে অবস্থান এবং তা থেকে দ্রুত বা দেরীতে বের হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে তাদের দ্রুত বা দেরীতে পরিষ্কার হওয়ার উপর। তাদের মধ্যে যে দ্রুত পরিষ্কার হতে পারবে, সে অতি দ্রুত জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে। আর যার পরিষ্কার হতে দেরী হবে, সে দেরীতে বের হবে।
মুশরিকরা যেহেতু মূলতই নাপাক, তাই আগুন তাদের নাপাকী দূর করবে না। আগুন থেকে তারা যদি বেরও হয়, তথাপিও পুনরায় তাতে অপবিত্র হয়েই প্রবেশ করবে। যেমন কুকুর সমুদ্রে প্রবেশ করে তাতে ডুব দিয়ে বের হয়ে আসলেও সে নাপাকই থেকে যায়। এ জন্যই আল্লাহ্ তা‘আলা মুশরিকদের উপর জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন।
আর পবিত্র মুমিনগণ যখন অপবিত্র আমল ও আখলাক হতে মুক্ত থাকবে, তখন তাদের উপর জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যাবে। কেননা তাদের মধ্যে এমন কোন খারাপ বিষয় থাকবেনা, যা থেকে তাদেরকে পবিত্র করার প্রয়োজন হতে পারে। সেই সত্তা অতীব পবিত্র, যার হিকমত মানবীয় বিবেক-বুদ্ধিকে ধাঁধায় নিপতিত করে এবং হতবুদ্ধি করে ফেলে।
[2]. সূরা যুমার-৩৯:৭৩-৭৪
[3]. সূরা নূর-২৪:২৬