চুলকাটা হজ্জ ও উমরা উভয় ইবাদতের ক্ষেত্রে ওয়াজিব।
(১) পুরা মাথা মুন্ডন করবেন অথবা মাথার সব অংশ থেকে চুল ছোট করে কেটে ফেলবেন।
(২) চুল ছোট করে কাটার চেয়ে মাথা মুন্ডন করার মধ্যে সাওয়াব বেশী। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা মুন্ডনকারীদের জন্য তিনবার রহমত ও মাগফিরাতের দোয়া করেছেন (رحم الله المحلقين)। অপরদিকে যারা চুল খাট করে কেটেছেন তাদের জন্য মাত্র একবার উক্ত দোয়া করেছেন (.... المقصرين)।
(৩) মাথার কিছু অংশের চুল ছোট করে কাটলে যথেষ্ট হবে না, বরং সমগ্র মাথা থেকে চুল ছোট করে কাটা অত্যাবশ্যক।
মেয়েদের মাথা মুন্ডনের বিধান নেই। তারা শুধু চুল ছোট করবে।
মহিলাদের জন্য মাথা মুন্ডনের কোন বিধান নেই। তারা তাদের মাথার চার ভাগের একাংশ চুলের অগ্রভাগ থেকে আঙ্গুলের উপরের গিরার সমপরিমাণ (অর্থাৎ এক ইঞ্চির একটু কম) চুল কেটে দেবে। মেয়েরা এর চেয়ে বেশী পরিমাণ চুল কাটবে না।
لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ حَلْقٌ إِنَّمَا عَلَى النِّسَاءِ التَّقْصِيرُ
ব্লেড বা ক্ষুর দিয়ে সম্পূর্ণ মাথা কামিয়ে দিবে। চুলবিহীন মাথাও ব্লেড দিয়ে এভাবে মুন্ডন করা হানাফী, মালেকী ও হাম্বলী মাযহাব মতে ওয়াজিব।
মনে হওয়া মাত্র সাধারণ পোষাক খুলে ফেলবে এবং পুনরায় ইহরামের কাপড় পরিধান করে মাথা মুন্ডন বা চুল কেটে ফেলবে। এরপর সাধারণ পোষাক পরবে।
যে কোন জায়গায় কাটতে পারেন। তবে উত্তম হলো উমরা পালনকারী ‘মারওয়া’র আশেপাশে এবং হাজী মিনায় চুল কাটবে।
পুরুষেরা উমরা শেষে চুল খাট করবে এবং হজ্জ শেষে মাথা মুন্ডন করবে, এটাই উত্তম। মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধে তাওয়াফ, সাঈ ও চুলকাটা শেষ হলে আপনার উমরাহ পালন সম্পন্ন হয়ে গেল। এখন ইহরামের কাপড় বদলিয়ে স্বাভাবিক পোষাক পরিধান করুন। অতঃপর হজ্জের ইচ্ছা থাকলে আপনি সে জন্য প্রস্ত্ততি গ্রহণ করুন।