মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বলী মাযহাবসহ অধিকাংশ বিজ্ঞ উলামাদের মতে মিনায় রাত্রিযাপন ওয়াজিব। বিনা ওজরে এটি ছুটে গেলে দম দিতে হবে। তবে হানাফী মাযহাবে এটা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আর এ সুন্নাত ছুটে গেলে দম দেয়া লাগে না।

১৭৬- কোন্ কোন্ রাত্রি মিনায় যাপন করা ওয়াজিব?

১০ ও ১১ই যিলহজ্জ দিবাগত রাতগুলোতে মিনায় থাকা ওয়াজিব। ১২ই যিলহজ্জ তারিখে পাথর নিক্ষেপ শেষে সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে ঐ তারিখের দিবাগত রাতেও মিনায় থাকা ওয়াজিব হয়ে যায়।

১৭৭- কী ধরনের উযর থাকলে মিনায় রাত্রি যাপন না করলেও গোনাহ হবে না?

নিম্নবর্ণিত কোন এক বা একাধিক সমস্যা থাকলেঃ

(১) সম্পদ নষ্ট হওয়ার ভয় থাকলে।

(২) নিজের জানের নিরাপত্তার অভাববোধ করলে।

(৩) এমন অসুস্থতা যে অবস্থায় মিনায় রাত্রি যাপন করলে তার কষ্ট বেড়ে যেতে পারে।

(৪) অথবা এমন রোগী সাথে থাকা যার সেবা-শুশ্রুষার জন্য মিনার বাইরে থাকা প্রয়োজন।

(৫) এমন লোকের অধীনে চাকুরীরত যার নির্দেশ অমান্যে চাকুরী হারানোর ভয় আছে, এ ধরনের শরয়ী ওযর থাকলে।

১৭৮- ১০, ১১ ও ১২ই যিলহজ্জ তারিখে দিনের বেলায় মিনায় থাকাও কি জরুরী?

না, তবে থাকাটা উত্তম।

১৭৯- রাতের কি পরিমাণ অংশ মিনায় কাটালে রাত্রি যাপনের ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে?

অর্ধেকের বেশী সময়।

১৮০- মিনায় অবস্থানের দিনগুলোতে সালাত আদায়ের নিয়ম কি?

চার রাক‘আত বিশিষ্ট ফরজ সালাতগুলো দুই রাক‘আত করে পড়বেন। তবে একত্রে জমা করবেন না। স্ব স্ব ওয়াক্তে আদায় করবেন। তবে যারা মিনাতে নিজেকে মুকীম বিবেচনা করবে তাদের ৪ রাকআত পড়ারও অবকাশ রয়েছে।

১৮১- মিনায় সাধারণতঃ কী কী সমস্যা হয়ে থাকে এবং এ থেকে সমাধানের উপায় কী?

মিনায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে পেশাব পায়খানার সমস্যা। প্রতিটি টয়লেটের সামনে ৩/৪ জনের লাইন দিবা রাত্রি সব সময়ই লেগে থাকে। খানা পিনা কম খেলে এ সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাওয়া যায়। যানজটের কারণে নিয়মিত ও সময়মত খাবার পরিবেশন সেখানে ব্যহত হয়। তখন ক্ষুধা নিয়ে কিছুটা কষ্ট করতে হয়, ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়। আপনার তাঁবুর নিকটে যে ক’টি খুঁটি আছে আগে থেকেই সেগুলোর নম্বর জেনে রাখুন। তাহলে হারিয়ে যাওয়ার ভয় থেকে আপনি শঙ্কামুক্ত থাকতে পারবেন। মিনার একটি মানচিত্র সর্বক্ষণ সাথে রাখতে পারলে আরো ভাল হয়।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে