এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, সুদ, সুদের অপকারিতা ও তার ভয়ঙ্কর পরিণতি সম্পর্কে বেশি বেশি আলোচনা হওয়া দরকার। কারণ যে সুদী কারবার করে সে আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের বিরুদ্ধে যেন যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর কোনো মুসলমান এমনটি কল্পনাও করতে পারে না। তাই এ থেকে দূরে থাকতে প্রতিটি মুসলমানের জন্য সুদের বিধান ও তার প্রকার-প্রকরণ জানা অপরিহার্য।
এ গুরুত্ব বিবেচনা করেই আমি নিজের এবং আমার মতো জ্ঞানের দৈন্যতায় ভোগা মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য সুদের বিধানাবলির ওপর কুরআন-হাদিসের দলিলাদি একত্রিত করেছি। বর্ণনা করেছি ব্যক্তি ও সমাজের ওপর এর কুপ্রভাবের দিকগুলোও।
আমি প্রথমে ভূমিকা তারপর তিনটি পর্ব এবং সবশেষে উপসংহার তুলে ধরে বইটির বিন্যাস করেছি এভাবে-
প্রথম পর্ব : প্রাক ইসলামি যুগে সুদ। এ পর্বে রয়েছে তিনটি অধ্যায়। যথা-
প্রথম অধ্যায় : রিবা বা সুদের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ।
দ্বিতীয় অধ্যায় : ইহুদি ধর্মে সুদ।
তৃতীয় অধ্যায় : জাহিলি যুগে সুদ।
দ্বিতীয় পর্ব : ইসলাম ধর্মে সুদের অবস্থান। এ পর্বে রয়েছে চারটি অধ্যায়। যথা-
প্রথম অধ্যায় : সুদ সম্পর্কে সতর্কিকরণ।
দ্বিতীয় অধ্যায় : রিবায়ে ফযল- (ক) রিবায়ে ফযল সম্পর্কে বর্ণিত কয়েকটি বক্তব্য। (খ) এর বিধান এবং রিবার সকল প্রকার। এবং (গ) রিবা হারাম হওয়ার কারণ ও হিকমত।
তৃতীয় অধ্যায় : রিবায়ে নাসিয়া। (ক) সংজ্ঞা (খ) রিবায়ে নাসিয়া সম্পর্কে বর্ণিত কয়েকটি বক্তব্য।
চতুর্থ অধ্যায় : বাইয়ে ইনা। (ক) সংজ্ঞা (খ) এর বিধান এবং তার নিন্দায় বর্ণিত কয়েকটি উদ্ধৃতি।
তৃতীয় পর্ব : যে সব ক্ষেত্রে কম-বেশি করা বা বাকি দেয়া জায়িয আছে। এ পর্বে রয়েছে তিনটি অধ্যায়। যথা-
প্রথম অধ্যায় : ওজন বা পরিমাপ করে বিক্রি হয় না এমন জিনিস কম-বেশি করে বেচা-কেনা বৈধ।
দ্বিতীয় অধ্যায় : বাইয়ে সরফ এবং তার বিধান।
তৃতীয় অধ্যায় : সন্দেহ থেকে দূরে থাকার প্রতি উদ্বুদ্ধ করণ।
চতুর্থ পর্ব : সমকালীন রিবার কতিপয় মাসআলার ব্যাপারে ফতোয়া।
পঞ্চম পর্ব : সুদের ক্ষতি ও অপকারিতা এবং তার কুপ্রভাব।
উপসংহার : এতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল।