উত্তর:
১: তাওহীদে রুবুবিয়্যা: এটি কাফেরগণও স্বীকৃতি দিয়েছিল, যেমন আল্লাহর বাণী:
﴿ قُلۡ مَن يَرۡزُقُكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِ أَمَّن يَمۡلِكُ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡأَبۡصَٰرَ وَمَن يُخۡرِجُ ٱلۡحَيَّ مِنَ ٱلۡمَيِّتِ وَيُخۡرِجُ ٱلۡمَيِّتَ مِنَ ٱلۡحَيِّ وَمَن يُدَبِّرُ ٱلۡأَمۡرَۚ فَسَيَقُولُونَ ٱللَّهُۚ فَقُلۡ أَفَلَا تَتَّقُونَ ٣١ ﴾ [يونس: ٣١]
অর্থাৎ: আপনি বলুন: তিনি কে? যিনি তোমাদেরকে আসমান ও জমীন থেকে রিযিক পৌঁছিয়ে থাকেন? অথবা তিনি কে? যিনি কর্ণ ও চক্ষুসমূহের উপর পূর্ণ অধিকার রাখেন? আর তিনি কে? যিনি জীবন্তকে প্রাণহীন হতে বের করেন আর প্রাণহীনকে জীবন্ত হতে বের করেন? এবং তিনি কে? যিনি সকল কাজ পরিচালনা করেন? তখন অবশ্যই তারা বলবে যে, আল্লাহ। অতএব, আপনি বলুন: তবে কেন তোমরা (শির্ক হতে) নিবৃত্ত থাকছো না? [সূরা ইউনুস ৩১]
২: তাওহীদে উলুহিয়্যা: সকল সৃষ্টিকে বাদ দিয়ে এক আল্লাহর জন্য ইখলাসের সাথে ইবাদত করা। কেননা আরবদের ভাষায় ইলাহ হল: যার জন্য ইবাদতের উদ্দেশ্য করা হয়। তারা বলতো: আল্লাহ হচ্ছেন সকল মা‘বূদের মা‘বুদ বা ইলাহের ইলাহ্, কিন্তু তারা তার সাথে অন্যান্য ইলাহকে ডাকতো। যেমন: সৎলোকগণ, ফেরেশ্তামন্ডলী ইত্যাদি। তারা বলতো: আল্লাহ তাতে রাজি আছেন এবং তারা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য শাফাআত করবে।
৩: তাওহীদে সিফাত: তাওহীদে রুবুবিয়্যা এবং উলুহিয়্যা ততক্ষণ পর্যন্ত সাব্যস্ত হবে না যতক্ষণ না তাওহীদে সিফাত তথা আল্লাহর গুণাগুণকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, কিন্তু কাফেরগণ ঐ সকল লোকদের চেয়ে জ্ঞানী যারা আল্লাহর সিফাতকে অস্বীকার করে। (কাফেররা আল্লাহর সকল গুণাগুণ অস্বীকার করতো না)