যে কোনো দরজা দিয়ে মসজিদে নববিতে প্রবেশ করতে পারেন। প্রবেশের সময় ডান পা আগে দিন। আল্লাহর নাম স্মরণ করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর প্রতি দরুদ পাঠ করুন। আল্লাহ যেন আপনার জন্য তাঁর রহমতের সমস্ত দরজা খুলে দেন সে জন্য দোয়া করুন। বলুন -
بِسْمِ اللِه، والصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ ، اللّهُمَّ اغْفِرْلِي ذُنُوْبِيْ وَافْتَحْ لِيْ أَبْوَابِ رَحْمَتِكَ[1].
মসজিদে প্রবেশের পর, বসার পূর্বে, তাহিয়াতুল মাসজিদের দু’ রাকাত সালাত আদায় করুন। হাদিসে এসেছে,
‘إذا دخل أحدكم المسجد، فلا يجلس حتى يصلى ركعتين
-তোমাদের মধ্যে যখন কেউ মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন দু’রাকাত সালাত আদায়ের পূর্বে না বসে’[2]। রাওজাতুল জান্নাতে—মসজিদের মেহরাবের কাছে সাদা ও সবুজ কার্পেট বিছানো জায়গা—আদায় করতে পারলে ভালো। কেননা রওজা শরীফ পবিত্রতম একটি জায়গা, জান্নাতের বাগান হিসেবে হাদিসে যার পরিচয় এসেছে। রওজায় জায়গা না পেলে যে কোনো স্থানে তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করুন।[3] এরপর লাইন ধরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর পবিত্র কবরের দিকে এগিয়ে যান।
[2] - বোখারি : হাদিস নং (৪৪৪) মুসলিম : হাদিস নং (১৬৫৪), হাদিসটির বর্ণনাকারী হলেন, আবু কাতাদা আস্সুলামি । মুসলিম শরীফের আরো একটি হাদিসে এসেছে, ‘ كان رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يقدم من سفر إلا نهارا في الضحى فصلى فيه ركعتين ثم جلس فيه - দিনের বেলা নাস্তার সময় ব্যতীত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কোনো সফর থেকে ফিরতেন না। তিনি ফিরে এলে মসজিদ দিয়ে শুরু করতেন। সেখানে তিনি দু’ রাকাত সালাত আদায় করতেন, অতঃপর বসতেন। (মুসলিম: হাদিস নং ১৬৫৯)
[3] - রাওজাতুল জান্নাতে সালাত আদায় করার জন্য ঝগড়া বা হৈচৈ করা মসজিদে নববীর আদব পরিপমীহ গোনাহের কাজ। ওমর (রাঃ), মসজিদে নববীতে আওয়াজ উঁচু করতে দেখে তায়েফবাসী দুই ব্যক্তিকে বলেন, ‘তোমরা মদিনাবাসী হলে আমি তোমাদেরকে শাস্তি দিতাম। তোমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর মসজিদে উঁচ্চ স্বরে কথা বলছ!) (বোখারি)। পবিত্র কোরআনে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর আওয়াজের ওপর মুমিনরা যেন তাঁদের আওয়াজ উঁচু না করে, সেমর্মে স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে। (দ্রঃ সুরাতুল হুজরাত:২২) উক্ত নির্দেশের আলোকে ক্কারী আবুবকর ইবনুল আরাবী বলেন যে রাসূলুল্লাহর (সাঃ)আদব প্রদর্শন তাঁর ওফাতের পরও জীবদ্দশার ন্যায় ওয়াজিব। তাই কোনো কোনো আলেম বলেন, যে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর কবরের সামনে বেশি উচ্চ স্মরে সালাম কালাম করা আদবের খেলাফ। (তাফসিরে মায়ারিফুল কোরআন)