ফেরেশতা জিব্রিল (আঃ) হজ্জের আমলসমূহ শিখিয়েছেন ইব্রাহীম (আঃ) কে আরাফার ময়দানে। শেখানো শেষে ইব্রাহীম (আঃ) কে জিজ্ঞেস করে বলেছেন, ‘هل عرف -আপনি কি জানতে পেরেছেন?’। সেই থেকে আরাফার নাম ‘আরাফা’ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আদম ও হাওয়া পৃথিবীতে আসার পর প্রথম পরিচয় হয় আরাফার ময়দানে বলেও একটি কথা আছে। [1] আরাফা শব্দের এক অর্থ পরিচয় লাভ করা, সে হিসেবেও আরাফার নাম আরাফা হয়ে থাকতে পারে। কারও কারও মতে, যেহেতু এ ময়দানে মানুষ
আল্লাহর দরবারে গুনাহ-পাপ স্বীকার করে থাকে, এখান থেকেও আরাফা নামটির উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে। কেননা عَرَفَ ধাতুরই রূপান্তরিত শব্দ اِعْتَرَفَ - ‘স্বীকার করেছে’।
আরাফার ময়দান হেরেম এলাকার বাইরে অবস্থিত। কাবা শরীফ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে, মসজিদুল হারাম রোড হয়ে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আরাফার এই ময়দান। ১০.৪ কি.মি. জায়গা জুড়ে বিস্তৃত আরাফার ময়দান। চতুর্দিকে সীমানা-নির্ধারণমূলক উঁচু ফলক রয়েছে। ৯ জিলহজ্জ ভোরে ফজরের সালাত মিনায় আদায় করে সূর্যোদয়ের পর ‘তালবিয়া’ পড়া অবস্থায় রওয়ানা হতে হয় আরাফা অভিমুখে। তবে বর্তমানে হজ্জযাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ফজরের পূর্বেই নিয়ে যাওয়া হয় আরাফায়। এটা নিশ্চয়ই সুন্নতের খেলাফ তবে সমস্যার কারণে এ সুন্নত ছুটে গেলে কোনো সমস্যা হবে না।