জানাযা নামায আদায় করার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। এই কারণে যে, মৃত্যুর কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। যখনই মানুষ মৃত্যু বরণ করবে তাকে গোসল দিয়ে, কাফন পরিয়ে তার জানাযা আদায় করবে। তা রাতে হোক বা দিনে। দাফন করবে রাতে হোক বা দিনে। তবে তিনটি সময়ে দাফন করা জায়েয নয়:
১) সূর্য উদয় থেকে নিয়ে এক তীর পরিমাণ সূর্য উপরে উঠা পর্যন্ত।
২) মধ্য দুপুরে, সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলা পর্যন্ত। অর্থাৎ পশ্চিমাকাশে সূর্য ঢলার পূর্বে প্রায় দশ মিনিট।
৩) সূর্যাস্ত যাওয়ার পূর্বে। অর্থাৎ এক তীর পরিমাণ সূর্য থাকার পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত।
এই তিনটি সময়ে দাফন করা জায়েয নয়। এ সময়গুলোতে দাফন করা নিষেধ অর্থাৎ দাফন করা হারাম। কেননা ঊক্ববা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “তিনটি সময়ে রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিষেধ করেছেন, নামায আদায় করতে এবং আমাদের মৃতদেরকে দাফন করতে।”
জানাযা নামাযে সর্বনিম্ন কত লোক হতে হবে তার কোন সীমা নির্ধারণ করা নেই। বরং একজন লোকও যদি জানাযা পড়ে যথেষ্ট হবে।
গোরস্থানে গিয়ে জানাযা পড়া জায়েয। এজন্য বিদ্বানগণ গোরস্থানে নামায আদায় করার নিষেধাজ্ঞা থেকে জানাযার বিষয়টিকে স্বতন্ত্র রেখেছেন। তাঁরা বলেন, গোরস্থানে জানাযা নামায আদায় করা জায়েয। হাদীছে প্রমাণিত হয়েছে, মসজিদে নববী ঝাড়-র কাজে নিয়োজিত মহিলাটির জানাযা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কবরে গিয়ে আদায় করেছিলেন। সে রাতে মৃত্যু বরণ করলে ছাহাবীগণ তাঁকে না জানিয়েই দাফন করে দেয়। অতঃপর নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বললেন, “তার কবর কোথায় আমাকে দেখিয়ে দাও।” তারপর তিনি তার কবরে জানাযা আদায় করলেন।