নিঃসন্দেহে এ ব্যক্তি মুসাফির। কেননা লিখা-পড়ার শহর তার স্থায়ী আবাসস্থল নয়। সেখানে থেকে যাওয়ার বা বসবাস করারও কোন নিয়ত সে করেনি। বরং নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্যে কয়েকদিন তথায় অবস্থান করছে। কিন্তু সে যদি এমন শহরে অবস্থান করে যেখানে জামাআতের সাথে নামায হয়, তবে নামাযের জামাআতে উপস্থিত হওয়া তার জন্য ওয়াজিব। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, মুসাফিরের জন্য জুমআ বা জামাআতে উপস্থিত হওয়া আবশ্যক নয়- একথার কোন ভিত্তি নেই, কোন দলীল নেই। মুসাফির যদি যুদ্ধের ময়দানে লড়াইয়ে থাকে তবুও তার জন্য জামাআতে নামায আদায় করা ওয়াজিব। আল্লাহ্ বলেন,
وَإِذَا كُنتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمْ الصَّلَاةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ
“আপনি যখন তাদের মধ্যে থাকবেন, তাদের জন্য নামায কায়েম করবেন, তখন তাদের মধ্যে থেকে একদল আপনার সাথে নামাযে দন্ডায়মান হবে।” (সূরা নিসাঃ ১০২) আর যে ব্যক্তিই আযান শুনবে তার জুমআর নামাযে উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব। আল্লাহ্ বলেন,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ
“হে ঈমানদারগণ! জুমআর দিন যখন আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহ্র যিকিরের (নামাযের) দিকে আস।” (সূরা জুমআঃ ৯)