মানুষ যখন কোন কাজ বাস্তবায়ন করার ইচ্ছা করে; কিন্তু স্থির করতে পারে না কাজটি বাস্তবায়ন করবে না ছেড়ে দিবে? তখন ইস্তেখারার নামায আদায় করা সুন্নাত। তবে করা বা না করার কোন একটি দিক যদি তার কাছে প্রাধান্য পায় এবং স্থির হয়ে যায় তবে সে সময় ইস্তেখারা করা সুন্নাত নয়। এ কারণে রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনেক কাজই করতেন। কিন্তু দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করার পরেই তা করে ফেলতেন। তিনি এসব প্রত্যেকটা কাজের জন্য ইস্তেখারা করেছেন এরকম বর্ণনা পাওয়া যায় না।
কোন মানুষ যদি ইচ্ছা করে- নামায আদায় করবে বা যাকাত প্রদান করবে বা কোন হারাম গর্হিত বিষয় পরিত্যাগ করবে বা খানা-পিনা করবে বা ঘুমাবে তবে এ সমস্ত ক্ষেত্রে ইস্তেখারা শরীয়ত সম্মত নয়।
তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা সুন্নাত নামায পড়ে ইস্তেখারার দু’আ পড়া যাবে না। কেননা হাদীছে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ এসেছে ইস্তেখারার নিয়তে দু’রাকাআত নামায আদায় করার জন্য। সুতরাং অন্য নিয়তে নামায আদায় করে ইস্তেখারার দু’আ পড়লে হাদীছের নির্দেশ বাস্তবায়ন হবে না।
কিন্তু যদি তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা সুন্নাত নামায আদায় করার সময় ইস্তেখারার নিয়ত করে তারপর ইস্তেখারার দু’আ পাঠ করে, তবে হাদীছের প্রকাশ্য ভাষ্য অনুযায়ী তা যথেষ্ট হবে। হাদীছে বলা হয়েছেঃ “তখন ফরয নয় এমন দু’রাকাআত নামায যেন সে আদায় করে।” এখানে শুধু ফরযকেই বাদ দেয়া হয়েছে। তবে যথেষ্ট না হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা হাদীছে বলা হয়েছেঃ “যখন কোন কাজের ইচ্ছা করে তখন..।” এদ্বারা উক্ত দু’রাকাআতের উদ্দেশ্য ইস্তেখারা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
আমার মতে উত্তম হচ্ছে, এ দু’রাকাআত নামায আলাদাভাবে শুধুমাত্র ইস্তেখারার নিয়তেই আদায় করা উচিৎ।