ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম সালাত শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ১ টি
(২৯০) তিলাওয়াতের সিজদা দেয়ার জন্য তাহারাত বা পবিত্রতা কি আবশ্যক? এই সিজদায় কি দু‘আ পাঠ করতে হবে?

কুরআনুল কারীমে নির্দিষ্টভাবে যে সমস্ত সিজদার আয়াত রয়েছে তা পাঠ করার সময় সিজদা প্রদান করা শরীয়ত সম্মত। সিজদার সময় হলে, তাকবীর দিয়ে আল্লাহু আকবার বলে সিজদা প্রদান করবে। পাঠ করবেঃ

سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى

সুবহানা রাব্বীয়্যাল আ‘লা

سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي

সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়াবি হামদিকা, আল্লাহুম্মাগ ফিরলী

اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ فَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ

আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু, ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু, সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু, ফাছাউওয়ারাহু, ওয়া শাক্কা সামআহু ওয়া বাছারাহু ফাতাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালেক্বীন।

اللَّهُمَّ اكْتُبْ لِي بِهَا عِنْدَكَ أَجْرًا وَضَعْ عَنِّي بِهَا وِزْرًا وَاجْعَلْهَا لِي عِنْدَكَ ذُخْرًا وَتَقَبَّلْهَا مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَهَا مِنْ عَبْدِكَ دَاوُدَ

আল্লাহুম্মাক্‌তুব লী বিহা আজরা, ওয়া যা’ আন্নী বিহা ভিযরা, ওয়াজ্‌ আলহা লী ইনদাকা যুখরা, ওয়া তাক্বাব্বালহা মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতাহা মিন আ’বদিকা দাঊদ)

অর্থঃ হে আল্লাহ্‌ এর বিনিময়ে আমার জন্য প্রতিদান লিখে দাও। আমার গুনাহ্‌ মোচন কর। আমার জন্য আপনার কাছে তাকে সঞ্চিত করে রাখ। আমার নিকট থেকে তা কবূল করে নাও যেমনটি কবূল করেছো তোমার বান্দা দাঊদ (আঃ) থেকে। তারপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবে। তাকবির দিবে না সালামও ফেরাবে না। কিন্তু ছালাত অবস্থায় যদি সিজদার আয়াত পড়ে তবে আবশ্যক হচ্ছে সিজদা দেয়া এবং সিজদা থেকে উঠার সময় তাকবীর দেয়া। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নামাযের বর্ণনা যারা দিয়েছেন, তারা উল্লেখ করেছেন যে, তিনি প্রত্যেকবার মাথা নীচু করা ও মাথা উঠানোর সময় তাকবীর দিতেন।

কিন্তু কিছু লোক ছালাতের মধ্যে সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করলে, সিজদার সময় শুধু তাকবীর দেয় উঠার সময় দেয় না। তাদের এ কাজের পক্ষে আমি সুন্নাহ্‌ থেকে বা বিদ্বানদের উক্তি থেকে কোন দলীল খুঁজে পাইনি।

তিলাওয়াতের সিজদার জন্য তাহারাত বা ওযু আবশ্যক কি না? এ ব্যাপারে বিদ্বানদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেনঃ পবিত্রতা আবশ্যক। কেউ বলেছেনঃ এর কোন বাধ্যবাধকতা নেই। ইবনু ওমার (রাঃ) বিনা পবিত্রতায় সিজদা করতেন। কিন্তু আমি যেটা মনে করি, তা হচ্ছে জন্য বিনা ওযুতে এই সিজদা না দেয়া।