উত্তর: এ কাজটি অর্থাৎ আল্লাহ বা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা কুরআন অথবা দীন নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা কুফুরী। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে এ রকম বিদ্রুপের ঘটনা ঘটেছিল। একদা মুনাফিকরা তাঁকে এবং সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বলল, আমরা এ সমস্ত লোকদের চেয়ে অধিক পেট পূজারী, অধিক মিথ্যুক এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে এদের চেয়ে অধিক ভীতু আর কাউকে দেখি নি। তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَئِن سَأَلۡتَهُمۡ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ﴾ [التوبة: ٦٥]
“আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, উত্তরে তারা অবশ্যই বলবে যে, আমরা কেবল হাসি-তামাসা করছিলাম।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬৫]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যখন অভিযোগ আসল, তখন তারা বলল, পথের ক্লান্তি দূর করার জন্য যে সমস্ত কথা-বার্তা বলা হয়, আমরা শুধু তেমন কিছু কথাই বলছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আল্লাহর বাণী শুনিয়ে দিলেন।
﴿قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥ لَا تَعۡتَذِرُواْ قَدۡ كَفَرۡتُم بَعۡدَ إِيمَٰنِكُمۡۚ ٦٦﴾ [التوبة: ٦٥، ٦٦]
“বলুন! তোমরা কি আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ এবং তাঁর রাসূলকে নিয়ে হাসি-তামাসা করছিলে? তোমরা এখন ওযর পেশ করো না। তোমরা তো ঈমান প্রকাশের পর কুফুরী করেছো।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬৫-৬৬]
কাজেই আল্লাহ তা‘আলা, রিসালাত, অহী এবং দীনের বিভিন্ন বিষয় অত্যন্ত পবিত্র। এগুলোর কোনো একটি নিয়ে ঠাট্টা করা বৈধ নয়। যে এরূপ করবে, সে কাফির হয়ে যাবে। কারণ, তার কাজটি আল্লাহ, তাঁর রাসূল, কিতাব এবং শরী‘আতকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রমাণ বহন করে। যারা এ ধরণের কাজ করবে, তাদের উচিৎ আ,ল্লাহর দরবারে তাওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে নিজেকে সংশোধন করা। তাদের উচিৎ আল্লাহর প্রতি ভয় ও সম্মান দিয়ে অন্তরকে পরিপূর্ণ করা।