উত্তর: সন্দেহ নেই যে, ভাগ্যের লিখন পরিবর্তনে দো‘আর প্রভাব রয়েছে। তবে জেনে রাখা দরকার, পরিবর্তনটাও পূর্বে লেখা আছে যে, দো‘আর মাধ্যমে অমুকের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। এ ধারণা যেন না হয় যে, আপনি ভাগ্যের কোনো অলিখিত বস্তু পরিবর্তনের জন্যে দো‘আ করছেন। সুতরাং দো‘আ করবেন এটাও লেখা আছে। আর দো‘আর মাধ্যমে যা অর্জিত হবে, তাও লিখিত আছে। এ জন্যই আমরা দেখতে পাই যে, রোগীকে ঝাড়-ফুঁক করা হলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল সৈনিক কোনো একদিকে প্রেরণ করলেন। তারা কোনো এক গোত্রের নিকটে মেহমান হিসাবে উপস্থিত হলে গোত্রের লোকেরা মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। রাতের বেলা সেই গোত্রের নেতাকে বিষাক্ত সাঁপে দংশন করল। তাকে ঝাড়ার জন্য কবিরাজ অনুসন্ধান করা হলো, কিন্তু কোনো কবিরাজ পাওয়া গেল না। অবশেষে লোকেরা সাহাবীগণের নিকট এসে কবিরাজ অন্বেষণ করল। একজন সাহাবী বললেন, আমি ঝাড়-ফুঁক করতে রাজি আছি, তবে আমাকে বিনিময় দিতে হবে। তারা একশটি ছাগল দিতে রাজি হলে উক্ত সাহাবী রোগীকে সূরা আল-ফাতিহা পড়ে ঝাড়-ফুঁক করলেন। ফলে রোগী এমনভাবে সুস্থ হয়ে উঠল মনে হয় যেন রশির বাঁধন হতে মুক্ত করা হল।
উক্ত হাদীস থেকে দেখা যাচ্ছে যে, রোগ মুক্তর জন্য ঝাড়-ফুঁক যথেষ্ট কার্যকর। দো‘আর প্রভাব রয়েছে। তবে তাতে ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না; বরং ভাগ্যে এটাও লেখা রয়েছে যে দো‘আ করবে তার ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। সব কিছুই সংঘটিত হয় ভাগ্যের লিখন অনুযায়ী।