উত্তর: আল্লাহর ক্ষমতা ও মর্যাদা অনুযায়ী যেভাবে ‘আরশের উপরে সমুন্নত হওয়া শোভাপায়, তিনি সেভাবেই ‘আরশের উপর প্রতিষ্ঠিত।
মুফাসসিরগণের ইমাম আল্লামা ইবন জারীর বলেন, ইসতিওয়া অর্থ হলো সমুন্নত হওয়া, উপরে হওয়া। আল্লাহর বাণী, ٱلرَّحۡمَٰنُ عَلَى ٱلۡعَرۡشِ ٱسۡتَوَىٰ [طه: ٥] এর অর্থ বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন যে, “আল্লাহ ‘আরশের উপরে সমুন্নত।” [সূরা ত্বাহা, আয়াত: ৫] এ অর্থ ব্যতীত সালাফে সালেহীন থেকে অন্য কোনো অর্থ বর্ণিত হয় নি।
১) অন্য কোনো শব্দের সাথে যুক্ত না হয়ে এককভাবে ব্যবহার হলে অর্থ হবে, পরিপূর্ণ হওয়া। আল্লাহ বলেন,
وَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُۥ وَٱسۡتَوَىٰٓ [القصص: ١٤]
“যখন তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক হলেন এবং পরিপূর্ণতায় পৌঁছলেন।” [সূরা আল-কসাস, আয়াত: ১৪]
২) ইসতিওয়া শব্দটি আরবী অক্ষর (واو) এর সাথে মিলিত হয়ে ব্যবহার হলে অর্থ হবে সমান সমান হওয়া, একটি জিনিস অন্যটির বরাবর হওয়া। যেমন, বলা হয় (استوى الماء والعتبة) পানি কাষ্ঠের সমান হয়ে গেছে।
৩) আরবী অব্যয় (إلى) এর সাথে মিলিত হয়ে আসলে অর্থ হবে, ইচ্ছা করা, মনোনিবেশ করা। যেমন আল্লাহ বলেন,
ثُمَّ ٱسۡتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ [البقرة: ٢٩]
“অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করলেন।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৯]
৪) আরবী অব্যয় (على) এর সাথে মিলিত হয়ে আসলে অর্থ হবে, সমুন্নত হওয়া, উপরে হওয়া। যেমন, আল্লাহ বলেন,
ٱلرَّحۡمَٰنُ عَلَى ٱلۡعَرۡشِ ٱسۡتَوَىٰ [طه: ٥]
“আল্লাহ ‘আরশের উপরে সমুন্নত।” [সূরা ত্বাহা, আয়াত: ৫]
আবার কোনো কোনো সালাফ বলেন ইসতিওয়া শব্দটি إلى এবং على এর মধ্যে থেকে যে কোনো একটির সাথেই মিলিত হয়ে আসুক না কেন, অর্থের দিক থেকে কোনো পার্থক্য নেই। একটি অন্যটির অর্থে ব্যবহার হয়। তাই উভয় ক্ষেত্রে অর্থ হবে আল্লাহ ‘আরশের উপর সমুন্নত।